প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পৃথক কর্মসূচি দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা। একদিকে সভাপতি পদপ্রত্যাশী অপু চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠনটির পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীদের একটি অংশ এবং অপরদিকে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে অপর একটি অংশ পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

আজ বুধবার সকালে সভাপতি পদ প্রত্যাশী অপু চৌধুরীর নেতৃত্বে দীঘিনালা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু করেন নেতৃবৃন্দ। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পায়রা উড়ানোর পর কেক কেটে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সীমা দেওয়ান। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর নারায়ণ ত্রিপুরা, বোয়ালখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নন্দু কুমার দে সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার শতাধিক দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ছাত্রলীগ নেতা অপু চৌধুরী।

NewsDetails_03

এদিকে বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু করেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে আনন্দ র‍্যালী ও কেক কাটা শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী আলম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিক, মোঃ বারেক ও মনিরুল ইসলাম ফরাজি প্রমূখ।অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

প্রসঙ্গতঃ বিগত ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার তারিখ নির্ধারণ থাকলেও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় সম্মেলন স্থগিত করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ স্বাক্ষরিত দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ ও দীঘিনালা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের (আংশিক) কমিটি ঘোষণা দিলে ছাত্রলীগের একাংশ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে।

পরবর্তীতে একই বছরের ১৫ নভেম্বর সকালে উপজেলা ছাত্রলীগ ও দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ ও পর্যটকবাহী যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকা থেকে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে। পরে পুলিশের সতর্ক পাহারায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভার আয়োজন করে। ঐ সভায় উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ বরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উভয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে।

আরও পড়ুন