প্রবারণা’র উৎসব রঙে রঙ্গিন বান্দরবান
প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবানে চলছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও প্রবারণা উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে গত বুধবার সকাল থেকে দুইদিনব্যাপী জেলা জুঁড়ে চলছে নানা আনুষ্টানিকতা।
গত বুধবার সকাল থেকে বৌদ্ধ বিহারে বিহারে প্রার্থনা, ভিক্ষুদের উন্নত খাবার বিতরণ আর সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় হাজার বাতি প্রজ্জলন, মহা রথ টানা, ফানুস বাতি উত্তোলন ও পাড়ায় পাড়ায় পিঠা তৈরির উৎসব। জেলা জুঁড়ে মারমা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি, চাকমা, ত্রিপুরা, চাক, বড়ুয়াসহ পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির জনসাধারণ এই উৎসবে যোগ দিয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা আর প্রদীপ প্রজ্জলন। প্রবারণার এই উৎসবে যোগ দিয়েছে বাঙ্গালীসহ দেশী বিদেশি পর্যটকেরা।
প্রথম দিন সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা শহরের উজানীপাড়া রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে ফানুস বাতি উত্তোলনের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপরই জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বিহারে শুরু হয় ফানুস বাতি উত্তোলন।
ফানুস বাতি উত্তোলণ উৎসবে যোগ দিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বাঙ্গালীদের ও উপস্থিতি চোখে পড়েছে। রং বে রংয়ের বিশাল আকৃতির ফানুস বাতি আকাশে উড়ানোর দৃশ্য দেখার জন্য বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের জনসাধারণ এমনকি পর্যটকও ভীড় করছে শহরের বিভিন্ন বিহার প্রাঙ্গনে।
উৎসবে যোগ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, এই প্রবারণা উৎসব বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হলে ও পার্বত্য জেলায় এই উৎসবকে ঘিরে বয়ছে আনন্দের বন্য। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে যোগ দিয়ে আসছে ।
এসময় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে আজ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায় তাদের উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারছে এবং আগামীতে ও পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরাতন রাজবাড়ীর মাঠ থেকে মহা মঙ্গল রথ টেনে বান্দরবানের বিভিন্ন পাড়া প্রদক্ষিণ শেষে মধ্যরাতে সাংগু নদীতে রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দুইদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য প্রবারণা পূর্নিমার আয়োজন।