তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আমরাও কম দায়ী নই। পরিকল্পিত বনায়ন নেই, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষি ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তনের কারণেই প্রকৃতি বিরুপ আচরণ করতে বাধ্য হচ্ছে, আমাদের উচিত এ পথ পরিহার করা। যদি আমরা সবকিছুর বিষয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাড়াই, এর চেয়েও বড় দুর্যোগের সম্মুখিন হতে হবে আমাদের। তাই এ ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে। কোনভাবেই যাতে খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্র সংকট তৈরি না হয় সেটাও দেখতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার যে অবস্থা সেখানে গিয়ে বাড়িঘর নির্মান করে এ মুহুর্তে থাকা আরো বিপদজনক। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন ক্ষতিগ্রস্থরা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুক, ওদের দেখভালে দায়িত্ব সরকার নিবে। তিনি পাহাড় ধসে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা ঘাট যত দ্রুত সম্ভব চলাচলের উপযোগী করে তোলার হবে বলে জানান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এর সভাপতিত্বে এদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক যোগযোগ বন্ধ থাকায় কাপ্তাই উপজেলা হয়ে নদী পথে রাঙামাটি এসে পৌছান। রাঙামাটিতে তিনি পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ও কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এদিকে, প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আজও আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১১৪ তে গিয়ে দাড়াল। অবশিষ্ট নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে, শহরে ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ১ শত লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।