বাংলাদেশী তরুণী তাহমিনা আক্তার বৃষ্টির(২১) সাথে প্রেমের সম্পর্কের টানে পাকিস্তানি নাগরিক খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ছুটে এসেছেন।
তাহমিনা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়ন উত্তর পাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে। সে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ব্যবসায়ী শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন (২৮) পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জানা যায়, ৮মাস ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিনের সাথে তাহমিনা আক্তার বৃষ্টির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের টানে গত ১১ ডিসেম্বর আলিম উদ্দিন পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বেলছড়িতে আসেন। এরপর উভয়ের সম্মতিতে তারা দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এখন ওই নাগরিক মেয়ের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।

তরুণীর বাবা আবুল হোসেন বলেন, ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়। ২২ তারিখ বেলছড়ি নিজ গ্রামে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। আমার মেয়ে তার স্বামীর সাথে পাকিস্তানে চলে যাবেন মর্মে পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ চলমান রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবেন। দোয়া করি তারা যেন সুখী হয়।
পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন বলেন, গত ৮ মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক, আমার পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে অবগত আছেন। তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি। আমি অল্প কিছু বাংলা বলতে ও বুজতে পারি তাহমিনা আমাকে তা শিখিয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানি নাগরিক প্রেম জনিত কারণে মাটিরাঙ্গায় আসার ঘটনা অবগত আছি। তার অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা সেজন্য আমরা তার উপর নজর রাখছি।