
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এরশাদ উল্লাহ এবং এএসআই মোবারক হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বসতবাড়িতে ভাংচুর, বাড়ীর লোকজনদের মারধরের অভিযোগে ছৈয়দ নুরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৯ নভেম্বর একটি সিআর ১২৩/১৬ মামলা রুজু করেন। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর আদালত সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার জের ধরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী যাবার পর ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার থেকে পুলিশ মামলার বাদী ফাতেমা বেগমের স্বামী ছৈয়দ নুর’কে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তার কাছ থেকে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
ছৈয়দ নুরের স্ত্রী মামলার বাদী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এরশাদ উল্লাহ আমার স্বামীকে আটক করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েকদিন আগে পুলিশ ছৈয়দ নুরকে আমার বাড়িতে এসে মারধর করে আহত করে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ঘুমধুম তুমব্রু বাজার এলাকায় গেলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশের এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষাভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘুমধুম পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ এসআই এরশাদ উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুমের জলপাইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা’সহ ছৈয়দ নুর’কে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।