ফের কাপ্তাই বিএসপিআই এ ছাত্র বিক্ষোভ

শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি !

purabi burmese market

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (বিএসপিআই) শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ফের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টা হতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভিতর অভিযুক্ত শিক্ষককে ছাত্রাবাসের সহকারী ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক পদ হতে অপসারণ, তদন্ত পূর্বক তাঁর বিচার চেয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এইসময় সাধারণ ছাত্রীরা আট দফা দাবি অধ্যক্ষ বরাবরে পেশ করেন। আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থী তদন্তের তারিখ নিদিষ্ট করে দেওয়া এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে পেশ করার দাবি জানান।

এর আগে একই দাবিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনুরূপ কর্মসূচী পালন করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল উড এর জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মো.এজাবুর আলম(৩৫) বর্তমানে চট্টগ্রামে একটি ট্রেনিং এ আছেন বলে ইন্সটিটিউট সূত্রে জানা যায়।

এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই বিএসপিআই অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে গত ৩১ আগস্ট হতে ছাত্রাবাসের সহকারী ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান,অত্র সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল উড এর জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মো.এজাবুর আলম(৩৫) সিভিল উড বিভাগের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে লালসা ও প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে আসছেন। অভিযুক্ত ছাত্রী উক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে গত ২৮আগস্ট চট্রগ্রাম হতে ডাকযোগে যোগে অধ্যক্ষ বরাবরে একটি চিঠি পাঠায়। তারই প্রেক্ষিতে তাদের এই সমাবেশ।

dhaka tribune ad2

এদিকে সুইডেন পলিটেকনিক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জানান, আমি গত ৩০ আগস্ট অভিযোগের চিঠি পাই। এবং ঐ দিন চিঠি পেয়ে মেকানিক্যাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওমর ফারুকে আহবায়ক করে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করি এবং৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার জন্য বলি। তদন্ত রিপোর্টে যা আসে তা কারিগরি মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিব বলে তিনি জানান।

তিনি আরোও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গত ৩১ আগস্ট হতে সহকারী ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ক পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা ওমরু ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা চিঠি পেয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি মাত্র ৪ দিন হলো। উভয়ের সাথে কথা বলে আমরা তদন্ত রিপোর্ট অধ্যক্ষের বরাবরে পেশ করব।

অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে টেলিফোনে কথা বললে তিনি জানান, এগুলো সব বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ। যে অভিযোগ করেছে তারা আমার পরিবারের সদস্য। সে আরোও জানান, কোন অভিযোগ প্রমাণ হলে আমার মন্ত্রণালয়ের যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।