রাঙামাটি শহরের হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনমান উন্নয়নে উন্নত আবাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রদায়ের ৩৬টি পরিবার পেতে যাচ্ছেন এই বহুতল ভবনে একটি করে সরকারি ফ্ল্যাট। এরই লক্ষ্যে রাঙামাটি এলজিইডির বাস্তবায়নে শহরের পৌর কলোনীতে নির্মাণ করা হবে ৭ তলা ভবন।
রাঙামাটি এলজিইডির সূত্রে জানা গেছে, পৌর কলোনীর হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের জন্য ৭ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ভবনের মধ্যে ৩৬টি পরিবারের জন্য থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
আরো জানা গেছে, প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৭৫০ বর্গফুট। ছোট পরিবারের কথা মাথায় রেখে প্রতি ফ্লাটে থাকছে এটাচ বাথসহ ১টি মাষ্টার বেডরুম, কমন বাথরুম, একটি কিচেন, একটি ড্রাইনিং কাম ড্রইং রুম ও বারান্দা।
ভবন নির্মানের খবরে পৌরকলোনীতে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। নানা প্রাকৃতিক প্রতিকুলতার মধ্যে যুগের পর যুগ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করা হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের মাথা গোঁজার ঠাঁয় হচ্ছে, সবাই খুবই উচ্ছসিত।
কলোনীর বাসিন্দা খোকন দাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকেই দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করে আসছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা চিন্তা করে ফ্ল্যাট নির্মান করে দিচ্ছেন, খুবই খুশির খবর। আশা করছি, পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে থাকতে পারব।
ভবন নির্মাণ ও ফ্ল্যাটের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী আহামদ শফি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি শহরের হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনমান উন্নয়নে উন্নত আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই ভবন নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। বাস্তবায়নে তিন বছর সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রাঙমাটি পৌরমেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, যারা পৌরশহরের পরিচ্ছন্নতার কাজে রাতদিন অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তাদের একটু প্রশান্তির জন্য রাঙামাটি পৌরকলোনীতে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ভবন নির্মান করা হবে। নির্মান শেষে তালিকা অনুযায়ী হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৬টি পরিবারের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে। বাকী হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ধাপে ধাপে ভবন নির্মান করার উদ্যোগ নেয়া হবে।