বই পড়ার বিকল্প কোনো কিছু নেই : ক্যশৈহ্লা

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের র‌্যালিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লাসহ অন্যরা
প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে বই পড়ার অভ্যাস আমরা যেন কেউ না ভুলে যায়, বই পড়ার বিকল্প কোনো কিছু নেই। আজ মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
এসময় তিনি আরো বলেন, আপনি যখন পড়বেন, তখন বইয়ের সঙ্গে তর্ক করে করে পড়বেন। কারণ, আপনার কাজ এই নয় যে আপনি আরেকজনের চিন্তাধারা হুবহু নেবেন। আপনার কাজ হচ্ছে আপনি আরেকজনের চিন্তাটাকে পর্যালোচনা করে আপনার চিন্তায় পৌঁছাবেন। তাতে আপনার মনের জানালাগুলো খুলবে। আবার কেউ যখন বই পড়েন, তখন তিনি লেখকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, এই হচ্ছে বই পাঠকের মধ্যে লেখকের সাথে একটি সর্ম্পক গড়ে উঠা।
‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’ স্লোগানে বান্দরবানে পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। চত্বরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এসে একই স্থানে এসে শেষ করা হয় শোভাযাত্রা। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পরে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, সদস্য মোঃ মোস্তফা জামাল, সদস্য ক্যানে ওয়ান চাক, সদস্য ফাতেমা পারুল, বান্দরবান জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরী ইনচার্জ মাশৈথুই চাক, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, কান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ইয়াকুব, বিশিষ্ট কবি নীলিমা আক্তার নীলা, আবদুল মোমেন চৌধুরী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীরা।

আরও পড়ুন