বন্যায় চরম সংকটে বান্দরবান:পাহাড় ধসে নিহত ১,আহত ২

NewsDetails_01

টানা ১০দিনের প্রবল বর্ষনের কারনে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে জেলা সদরের মেম্বারপাড়া, আর্মিপাড়া, ইসলামপুর,বাসস্টেশন ছাড়াও লামা, আলীকদম,রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় ফলে চরম সংকটে পুরো জেলা। তাছাড়া লামা উপজেলার মধুঝিড়ি এলাকায় বসতবাড়ির উপর পাহাড় ধসে মিরজানা বেগম নিহত হয়েছে,এসময় আরো দুইজন আহত হলেও তাদের নাম জানা যায়নি।
আরো জানা গেছে,জেলা শহরের কালাঘাটা, বড়ুয়াপাড়া,স্টেডিয়াম এলাকাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ১৯৯৭ সালের পর বান্দরবানে এই ধরণের ভয়াবহ বন্যা আর দেখা যায়নি, বন্যার কারনে শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, জেলার পানির সব উৎস পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, ৬ দিন ধরে জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নিত্য পন্যের দাম তিন থেকে চারগুন বেড়েছে।
বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দোয়ার এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে গত মঙ্গলবার থেকে ৬ষ্ট দিনের মতো জেলার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবানের বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলায় ১৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও যা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বানবাসী মানুষ মসজিদ,মন্দিরসহ বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে । আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভা সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা খাবার বিতরণ করছে।
এদিকে বন্যার কারনে বহু ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম বলেন,জেলার দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন