এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর বলেছেন, কোনো পাড়াপ্রধান কারবারী-হেডম্যান বা রাজা এখানকার দুর্গম পাহাড়ে মানুষের শিক্ষার কথা কেউ চিন্তা করেনি। তবে একজনই সব লোভ-লালসা ও সকল সুযোগ সুবিধা নিজের স্বার্থকে বাদ দিয়ে এখানকার মানুষের জন্য চিন্তা করেন, এক মহানায়ক তিনিই প্রয়াত লালনাগ বম। তাঁর অবদানের জন্যই রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৫০বর্ষ পূর্তি উৎসব সুবর্ণ জয়ন্তী।
বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, এক কোটি ৩৩লক্ষ টাকার ব্যয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও হোষ্টেল নির্মাণসহ নানা ধরণের সংস্কার কাজ আগামী জানুয়ারী মাস থেকে শুরু হচ্ছে। তার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রায় একশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে শুধু এ উপজেলায়।
সুবর্ন জয়ন্তী উৎসব উদযাপণ কমিটি আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যের মধ্যে রুমা জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বিজিপি ৫৩ ব্যাটালিয়ানের মেজর গৌতম রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম(রাজস্ব), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী হোসেন জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, জুয়েল বম, ক্যসাপ্রু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামসুল আলম, প্রধান শিক্ষক হ্লাশৈনু মারমা বক্তৃতা করেন।
আরো বক্তৃতা দেন সাবেক শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মামুন, সুধাংশ কর্মকার, শিমুল স্যার, সাবেক শিক্ষক সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ রন্জু, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লালনাগ বমের জ্যোষ্ঠপুত্র সাংমোয়ান বম, সাবেক ছাত্র বিটি থলাংদির বম, রুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা, সাধারণ সম্পাদক সাংপুই বম, রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্র মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এর আগে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষাথীদের স্বত;স্ফূর্ত অংশগ্রহণে ও বর্ণাঢ্য পরিসরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। রুমা বাজারসহ এলাকার গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বম কমিউনিটি প্রাঙ্গনে রুমা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক প্রয়াত প্রধান শিক্ষক লালনাগ বমের প্রতিকৃতিতে সমাবেত হয়। পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে লালনাগ বমের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে তাঁর আত্মা শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।