বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিবে রাঙামা‌টির ২ কিশোর

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাঁতারে নামার অ‌পেক্ষায় রাঙামা‌টি দুই কি‌শোরসহ ৪৭ জন। এরম‌ধ্যে একজন নারীও র‌য়ে‌ছেন।

আগামী র‌বিবার (২৯ ডি‌সেম্বর) সকাল ৯টায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে তাঁরা সাঁতার শুরু করবেন।

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। এই চ্যানেলের দূরত্ব ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার। সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতে।

NewsDetails_03

রাঙামাটি জেলার না‌নিয়ারচর উপ‌জেলার জয়তু দাশ ও লংগদু উপ‌জেলার হা‌ফিজুর রহমান দীর্ঘ অথচ ক‌ঠিন এই বাংলা চ্যা‌নেল সাঁতা‌রে অংশ নি‌চ্ছে। দুঃসাহ‌সিক এই যাত্রায় রাঙামা‌টি জেলা ক্রীড়া অফিসার এস আই এম ফের‌দৌউস আল‌মের উৎসাহ ও দিক নি‌র্দেশনায় এই দুই সাঁতারু বাংলা চ্যা‌নেল পা‌ড়ি দেওয়ার সাহস খু‌ঁজে পে‌য়ে‌ছে। এরআ‌গে চল‌তি বছ‌রের ১৬ ন‌ভেম্বর রাঙামা‌টির কাপ্তাই হ্রদের সুবলং চ্যা‌নেলে মোট সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পাড়ি দেন তারা।

বরাব‌রের মত এবারও এই সাঁতারের আয়োজন করছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’। আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২৪। সাঁতারে অংশ নিচ্ছে সারা‌দে‌শের ৪৭জন সাঁতারু। গত শুক্র ও শ‌নিবার শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকতে সাঁতারুরা দল বেঁধে অনুশীলন করেন।

রাঙামা‌টি জেলা ক্রীড়া অফিসার এস আই এম ফের‌দৌউস আল‌ম ব‌লেন, আমি রাঙামাটিতে যোগদান করার পর ‌জে‌নে‌ছি, কাপ্তাই হ্রদে সাঁতার নি‌য়ে অ‌নে‌কের মা‌ঝে ভয় কাজ ক‌রে। এরপর থেকেই স্থানীয় পর্যা‌য়ে সাঁতারকে জনপ্রিয় করার জন্য নানাভা‌বে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সুবলং চ্যা‌নেল পা‌ড়ি দি‌য়ে‌ছি। এবার বাংলা চ্যা‌নেল পা‌ড়ি দি‌তে যা‌চ্ছি। রাঙামা‌টির দুই কি‌শোর জয়তু দাশ ও হা‌ফিজুর রহমান এতে অংশ নি‌চ্ছে। এদের অংশগ্রহণ দে‌খে ভ‌বিষ্যৎ প্রজন্ম উৎসাহ পা‌বে। সাঁতারভী‌তি দুর হ‌বে। সাঁতা‌রের প্রতি আগ্রহ বাড়‌বে।

আ‌য়োজক সু‌ত্রে জানা গে‌ছে, এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সাঁতারুর জন্য বোট ও উদ্ধারকর্মী আছেন। ধারাবাহিকভাবে এই নৌপথে সাঁতার হচ্ছে।

আরও পড়ুন