প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব জানায়, আহতদের চিৎকারে পাড়াবাসীসহ বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার শিকার আবুল কালাম জানায়, ছেলে রফিকুল ইসলামের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে দরজা খুলতেই দেখি অস্ত্রসহ পাঁচজন লোক। পরে তারা নিজেদের মুজাহিদ পরিচয় দিয়ে আমাকে সহ আমার বড় ভাইকে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রিজার্ভ এলাকার দিকে নিয়ে যায়।
আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখার জন্য আমার স্ত্রীও তাদের পিছু নেয়। কিছুদুর গিয়ে বুঝতে পারি তারা আমাদের অপহরনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে তাদের সাথে দস্তাদস্তি করি এবং চিৎকার করে এলাকার লোকজনকে এগিয়ে আসার আহবান জানায়। এলাকার লোকজন ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে দা এবং অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে এবং একপর্যায়ে জবাই করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবু মুসা জানান, অপহরণ চেষ্টার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সঙ্গীয় ফোর্সসহ এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বাইশারী সীমান্ত পেরিয়ে রামুর পাহাড়ী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।