স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারী অর্থায়নে সৃজিত সামাজিক বনায়নের কর্মসূচি হিসেবে ২০-৩০ বছর আগে ইউনিয়নের বাইশারী-নারিচবুনিয়া সড়ক এলাকার দুই পাশে কিছু গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। ওই শিক্ষক ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া ধৈয়ারবাপের পাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে সড়কে সৃজিত ৩টি বড় বড় আকাশমনি গাছ কেটে নিয়ে গেলেও পরক্ষণে কেহ বুঝতে পারেনি। এলাকার প্রায় লোকজন বিভিন্ন কাজে কর্মে ব্যস্ততার কারনে কেটে নেওয়ার সময় কেহ টের পায়নি।
মঙ্গলবার সড়কের পার্শ্বে পড়ে থাকা অবস্থায় লোকজন চলাফেরা করার সময় দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে অভিযোগ দেয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবু মুসার ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এবং অনুসন্ধানেও মিলেছে অভিযোগের সত্যতা। আর সড়কের গাছ কেটে নেয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বন বিভাগের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী উঠেছে এলাকাবাসীর। গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আই সি মোঃ আবু মুছা।
বৌদ্ধ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি থোয়াইছা প্রু মার্মা জানান, সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে কমিটি কিংবা ক্যাংয়ের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি জানেন না। আর ধর্মীয় মন্দিরের নাম বিক্রি করা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমরা জানি এই গাছ গুলো সরকারী লালন করা গাছ। গাছ কেটে ফেলা বিষয়টি ওই শিক্ষকের একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান, পুলিশ উদ্ধারকৃত গা গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিম্মায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।