বাইশারীর চাষী আব্দু সালাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে আশি শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন, তাতে পানি খরচ পড়েছে প্রায় চার হাজার টাকা। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পূনরায় বাঁধ তৈরী করে পানি দেওয়ার সময়ও নেই। এখন জমিতে লাভের বদলে লোকসানের আশংকা করছেন তিনি।
তরমুজ চাষী ফরিদুল আলম বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে তার তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে থাকায় সব তরমুজ পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাবার বাগান মালিকরা বেশ ফুরফুরে রয়েছেন।
অন্য দিকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ীরাও। তারা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসানের আশংকা করছেন তারা। অসময়ের বৃষ্টিতে রক্ষিত থাকা ফুলঝাড়ুগুলো শুকাতে গিয়ে মাঠেই ভিজে একাকার হয়ে যায়। প্রতি বছর জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ব্যবসায়ীক পণ্য হিসেবে পরিচিত ফুলঝাড়ু আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন বাইশারীর শত শত সাধারন লোকজন। অগ্রীম টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরা এসব কাঁচা অবস্থায় ফুলঝাড়ু ক্রয় করেন এবং ফুলঝাড়ু গুলো শুকানোর পর বাহিরে রপ্তানী করা হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, বাইশারী বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে লীজ নেওয়া বিশাল আকার জমিতে ফুলঝাড়ুর স্তুপ পানির নিচে। উপরে পলিথিন দিয়ে মাড়িয়ে রাখলেও নিচে পানি থাকায় ফুলঝাড়ুগুলো বাহিরে রপ্তানী যোগ্য নয়। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে যায়, লাগাতার বৃষ্টিতে ফুলঝাড়ু গুলো শুকানো সম্ভব নয়। তাই লোকসান হবে এ কথা মাথায় নিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যতে হবে। তবে এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন। একদিকে প্রতিদিনের শ্রমিকের খরচ অপরদিকে ব্যবসায়ী পুঁজি সব গচ্ছা যাবে বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, ইয়াছিন ও শাহিদুল হক বলেন, প্রকৃতির সাথে তো আর লড়াই করা যাবে না। ক্ষতিটা মেনে নিতেই হবে। লাভের আশা না করে বরং কিভাবে পুঁজি ঠিক রাখা যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা এই অসময়ের বৃষ্টি ব্যবসায়ীক ভাবে বাইশারীতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন।