চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে গত ১১ এ তদন্ত প্রিবেদন জমা দেয় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। ওই হামলার পরের দিন গত ১৯ মার্চ এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
দীপক চক্রবর্তী জানান, তারা এই হামলার উদ্দেশ্য কী তা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। এছাড়া এ ভবিষ্যতে এ ধরণের হামলা কীভাবে এড়ানো সে বিষয়েও কিছু সুপারিশ তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি, যাদের মধ্যে আছেন হামলায় আহত, স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, রিটার্নিং কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। তিনি আরও বলেন, “এটি বড় ঋষি চাকমার সমর্থকদের পূর্বপরিকল্পিত হামলা।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় কংলাক ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় ৯ কিলো এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ৮ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বড় ঋষি চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জেএসএস-সন্তু লারমা’ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ জেএসএস এর সাধারণ সম্পাদক। ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনের আগের রাতেই তিনি ভোট বর্জন করেছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেএসএস সংস্কার গ্রুপের সদস্য (এমএন লারমা) সুদর্শন চাকমা।
রাঙ্গামাটির সাংবাদিক বিজয় ধর জানান, বড় ঋষি চাকমার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই তিনি পলাতক আছেন। এর আগে তিনি বাঘাইছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচিত নতুন চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেন নি। ঢাকা ট্রিবিউন অবলম্বনে…