রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা হইতে রাজস্থলী সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে বাঙ্গালহালীয়া কলেজের দাবি আদায় কমিটি। কলেজটি জাতীয়করণ পূর্নবহাল না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন। আন্দোলনের কর্মসূচী হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার রাজস্থলী থেকে চন্দ্রঘোনা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ঘোষনা করেন।
রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালীয়া কলেজটি জাতীয়করনের আদেশ পূর্নবহাল রাখার দাবিতে ২৩ শে নভেম্বর বুধবার বাঙ্গালহালীয়া কলেজের দাবি আদায় কমিটির উদ্দ্যেগে মানববন্ধন, মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,বাঙ্গালহালীয়া কলেজটি আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান। আওয়ামীলীগ সরকার আমলেই কলেজটি স্থাপিত হয়েছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও বর্তমান পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিসহ স্থানীয় বিশিষ্ট জনরা। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বান্দরবান সফর শেষে ফেরার পথে বাঙ্গালহালীয়া বাজারে এক পথসভায় যোগ দিলে,বক্তারা রাজস্থলী উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে কলেজটি জাতীয়করনের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পথসভায় হাজার জনগণের সম্মূখে ওয়াদা দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই বাঙ্গালহালীয়া কলেজটি জাতীয় করন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। সারাদেশের ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করনের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কথা অনুযায়ী রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালীয়া কলেজের নামটিও অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। গত ২৮ জুন ২০১৬ ইং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারক নং- ০৩,০০১,০০০,০০,০০,০১,২০১৬-৩২। গত ৩০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৩৭,০০,০০০০,০৭০,০২,০৪৪,২০১৬-৭২৩, মাউশি অধিঃ স্মারক নং- ৭এ/০৯/সি-২/২০১৩/৫৬৩৯(ক)/৫। তারই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধীদপ্তর চট্রগ্রাম অঞ্চল পরিচালক প্রফেসর ড, সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, উপ-পরিচালক ড, গাজী গোলাম মাওলা, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোসারফ হোসেন সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক বাঙ্গালহালীয়া কলেজটির স্বপক্ষে অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও দাখিল করিয়াছেন। এছাড়াও কলেজটি জাতীয়করনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, ২৯৯ নং রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার এমপি ও মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি কলেজটির পক্ষে সুপারিশ আকারে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু এক শ্রেনীর স্বার্থনেষী মহল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপর বাঙ্গালহালীয়া ইউনিয়নবাসীর আস্থা ক্ষুন্ন করতে বাঙ্গালহালীয়া কলেজটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিক্তিহীন কিছু অভিযোগ তুলে কলেজটিকে জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অপচেষ্টা করছে। কলেজটির বিভিন্ন ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্ধোধনের ফটকগুলো দেখলে বোঝা যাবে কলেজটির সার্বিক উন্নয়ন ও কলেজটি কোন সরকারের আমলে স্থাপন করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ৩নং বাঙ্গালহালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান, বাঙ্গালহালিয়া কলেজ জাতীয়করণ পুনঃ বহালের দাবী আদায় কমিটির আহবায়ক ঞোমং মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পুলক বড়–য়া, পুলক চৌধুরী, বিশ্বনাথ চৌধুরী, কামাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রয়সাউ মারমা, সুইসাপ্রু মারমা, নয়ন চৌধুরী, আদোমং মারমা, মোঃ রফিক হাওলাদার, শামিম আহম্মদ রুবেল, রেজাউল আলম, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, মউচিং মারমা, হেডম্যান প্রতিনিধি মংচিং মারমা, পিপল মারমা, উষাথোয়াই মারমা, ডালিম বড়–য়া, আব্দুল কাদের হাওলাদার, শফিকুল ইসলাম শফিক, মোঃ শফিকুল ইসলাম মিঠু, প্রমূখ। মানববন্ধনে বাঙ্গালহালীয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজারেরও অধীক ছাত্র-ছাত্রী, হেডম্যান-কারবারী, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বাঙ্গালহালিয়া বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শুশিল সমাজের ব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে কলেজ জাতীয়করণ আদায় কমিটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।