বান্দরবানে দুর্গম এলাকাগুলোতেও গণটিকা দান কার্যক্রম অব্যাহত আছে । তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে আজ টিকাদান শেষ করতে না পারলেও আগামীকালও স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন অংসুই প্রু।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গণটিকাদান কার্যক্রম।
বান্দরবান পৌরসভার বালাঘাটা বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.লুৎফুর রহমান,পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাজিম উদ্দিন,সিভিল সার্জন ডা.অং সুই প্রু মারমা,ডেপুটি সিভিল সার্জন মংটিঞো,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশসহ সরকারী বেসরকারি কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে আজ বাংলাদেশের প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে সাধারণ জনগণ। এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং সবাইকে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন করার অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় ,বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এবং ৩৩টি ইউনিয়ন এ যারা করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের বিনামুল্যে এই টিকা প্রদান করা হবে । এছাড়াও জেলার ৭টি উপজেলার মোট ৪২টি কেন্দ্রে প্রথম পর্যায়ে ২১ হাজার নারী পুরুষকে টিকা প্রদান করা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরো জানায়, বান্দরবানে ২য় পর্যায়ে সিনোফার্মার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে এবং এই পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭২০জন ১ম ডোজ ও ১১০জন ২য় ডোজ গ্রহন করেছে।