বান্দরবান শহরের বালাঘাটা রক্ষাকালী মন্দিরে আগামী ১৫মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের তিনদিনব্যাপী গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ। বালাঘাটা সনাতনী সমাজের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী এই গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে।
গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাখাল দত্ত জানান, বান্দরবানে ১৫ মার্চ থেকে এই গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ শুরু হবে। ১৫ মার্চ ব্রাহ্মমূহর্তে মাঙ্গলিক শঙ্খধ্বনি ও নগর সংকীর্তনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা হবে। এর পরপরই সকাল ৮ ঘটিকায় শ্রী শ্রী চন্ডিপাঠ ও পার্থসারথী পূজা,সকাল ৯ ঘটিকায় শ্রী শ্রী বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ শুরু হবে। এতে পৌরহিত্য করবেন চট্টগ্রাম কালুরঘাটের তারানন্দ আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী গিরিজানন্দ পুরী মহারাজ। দুপুরে চলবে মহাপ্রসাদ আর সন্ধ্যা ৬টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস,এতে পৌরহিত্য করবেন চট্টগ্রামের ধর্মপুরের শ্রী শ্রী কৃষ্ণ বলরাম মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমান স্বাক্ষী গোপাল কৃষ্ণ দাশ। রাত ১০ টায় যথারীতি চলছে মহাপ্রসাদ আস্বাদন।
১৬ মার্চ ব্রাহ্মমূহর্তে মহানামযজ্ঞের শুভারম্ব ও অহোরাত্র নামযজ্ঞ,দুপুর ১২ টায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাজভোগ ও ভোগারতি,দুপুর ১টায় মহাপ্রসাদ আস্বাদন ও রাত ১০ টায় মহাপ্রসাদ আস্বাদন। ১৭ মার্চ ব্রাহ্মমূহর্তে কীর্ত্তন সহকারে নগর পরিক্রমা ও মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতির মধ্য দিয়ে তিনদিনব্যাপী এই গীতাযজ্ঞও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের সফল সমাপ্তি ঘটবে।
গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত দাশ জানান, গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ উপলক্ষে আমরা সার্বিক প্রস্তুুতি প্রায় শেষ করেছি । আশা করি সনাতনী সমাজের জন্য এই গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ ধর্মীয় জ্ঞান উন্নয়নে অনেকটাই কাজে লাগবে।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত দাশ আরো জানান,এবারে মহানামযজ্ঞে নামাঞ্জলি পরিবেশন করবে দেশের চারটি জনপ্রিয় দল,(১)জয়রাম সম্প্রদায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,(২) জগন্নাথ সম্প্রদায়,চট্টগ্রাম (৩)জগদানন্দ সম্প্রদায়,চট্টগ্রাম (৪)ভাগ্যলক্ষী সম্প্রদায়,বরিশাল।