করোনা সংকটে মানবেতর জীবন পার্বত্য জেলার হকারদের

করোনা কোভিট-১৯ এর কারনে অঘোষিত লক ডাইন চলছে বান্দরবান,রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

একদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, অন্যদিকে অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের না হওয়ার কারনে পত্রিকা আসা বন্ধ। ফলে গত ২৫ মার্চ থেকে সংবাদ ত্র পাহাড়ে প্রবেশ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিন পার্বত্য জেলার উপজেলাগুলোর অন্তত দেড় শতাধিক হকার।

খাগড়াছড়ি সংবাদপত্র হকার সমিতির নেতা মোঃ মানিক ও তুষার বলেন,পত্রিকা বিক্রি করা ছাড়া আর অন্য কোন কাজ নেই। পত্রিকা বিক্রি করে অন্য কাজ করার মতো সময় ও সুযোগ নেই তাদের। কারণ সকালে পত্রিকা বিলি করে বিকালে আবার গিয়ে টাকা উঠাতে হয়।

সূত্রে জানা গেছে, তারা সারা বছর পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালালেও পরিবহন বন্ধ থাকায় সপ্তাহ ধরেই বেকার। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পর থেকে বন্ধ রয়েছে তাদের পত্রিকা বিক্রি। এই আপদকালীন সময়ে তারা সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন। আর তা নাহলে তাঁদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। জেলা সদরের চেয়ে পার্বত্য জেলার উপজেলাগুলোর হকাররা আরো বেশি সংকটে আছে।

খাগড়াছড়ির সংবাদপত্র এজেন্ট রতন কুমার দে জানান, খাগড়াছড়ির অধিকাংশ আবাসিক এলাকা গুলো নিজ উদ্যোগে লক ডাইন করেছে। অন্য কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাই এই সময়টা হকারা পুরোপুরি বেকার। তাই তারা পত্রিকা মালিক, সরকার ও বিত্তবানদের কাছে এই আপদ সহকালীন সময়টাতে সহযোগীতা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম এই আপদ কালীন সময়ে পত্রিকা হকারদের সাহায্যের জন্য বিত্তবান ও সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছে।

বান্দরবানের পত্রিকা এজেন্ট অসিম রায় বলেন, সত্যি বলতে কি হকাররা অনেক কষ্টে আছে। অনেকে সরকার ঘোষিত ত্রাণ সামগ্রী পেলেও বান্দরবানের কোন হকারকে সহায়তা করা হয়নি।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন,গণমাধ্যমের প্রাণ হলেন হকাররা। ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়েই তাঁদের দৈনন্দিন কর্ম। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন হকারদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে

আরও পড়ুন