বান্দরবানের যে উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব মানা হয়না

purabi burmese market

বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। মাস্ক পড়তেও অনিহা বাজারের আসা ক্রেতা-বিক্রেতার। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর টইল দল দেখতেই পকেটে থাকা মাস্ক মুখে ও সামাজিক দূরত্ব মানতে তোড়জোড় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের। লোক সমাগমের এমন দৃশ্য শুধু সদর এলাকা নয়,উপজেলার কানাচে কানাছে সব জায়গায়।

আলীকদম উপজেলার হাটবাজার ও অন্যান্য দিন বাজারের আসা ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে আরও বেশী সামাজিক দূরত্ব না মানার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় মোঃ জমির উদ্দিন, রওশন চৌধুরী, মোঃআবুল বশর বলেন,বাজারে গেলে মনে হয় করোনার কোন অস্তিত্বও নেই, এখানের জন্য স্বাস্থ্য বিধিসহ সামাজিক দূরত্ব কার্যকর নয়।

তারা আরো বলেন, উপজেলার যে পরিস্থিতি, করোনা পরীক্ষা করলে আলীকদম সব উপজেলাকে ছাড়িয়ে যাবে। সামাজিক দূরত্ব না মানলেও প্রশাসনের কাউকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দেখাই যায়নি।

ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা সাধারণ সবাই প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সেনা টইল দল দেখলেই পকেটে বা হাতে থাকা মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব মানতে তোড়জোড়। কিন্তু সবকিছুই সাজানো। আসলে কেউ মানছে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান।

dhaka tribune ad2

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা বাজারে পণ্য সামগ্রী কিনতে আসা সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বললেও কোন কাজ হয় না।

আলীকদম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃনাছির উদ্দিন বলেন, মাস্ক ছাড়া কাউকে বাজার বিক্রি করতে দেয়না। কিন্তু বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে সিন্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

সচেতন ব্যবসায়ী ও বাজার চৌধুরীর কণ্ঠে ছিল ভিন্ন কথা। তারা বলেন, আমরা চাইলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারছি না। এক্ষেত্রে প্রশাসনকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে এ উপজেলায় শত শত করোনার রোগী হবে। হাটবাজারের দিন বিভিন্ন উপজেলা ও অন্য জেলা থেকে মানুষের সমাগম ঘটছে। কে জানে কার শরীরে করোনা বহন করছে? তাই দ্রুত প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল জানান,এখন থেকে বাজারগুলো কঠোর ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, জনগণকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা,মাস্ক পড়া এগুলো নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ও নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। নিজে সুস্থ থাকলে পরিবার সুস্থ থাকবে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।