বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ হচ্ছেন জ্ঞান প্রিয় ভিক্ষু

NewsDetails_01

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী রাজগুরু বিহার (খ্যং ওয়া ক্যং) এর বিহারাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করবেন জ্ঞান প্রিয় ভিক্ষু (ঞা না সিরি)। তিনি ১৩তম বোমাংগ্রী উ ক্যজসাই এর নাতি। ৬৭ বছর বয়সে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহন করছেন।

বান্দরবান বোমাং সার্কেলের রাজা উচ প্রু চৌধুরীর নির্দেশে শনিবার (২৩ মে) রাত ৮ টার পর বান্দরবান জেলা শহরে মাইকিং করে বিহারাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ করা হয় রাজ পরিবার থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ মে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে রাজগুরু মহাথেরো হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে জ্ঞান প্রিয় ভিক্ষুর অভিষেক অনুষ্ঠানটি হবে বলে নিশ্চিত করা হয়। অভিষেক অনুষ্ঠান নির্ভিঘ্নে শেষ করার জন্য বিহারটির নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

NewsDetails_03

জানা গেছে, বিহার নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার পর গত ১৬ই মে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা বোমাংগ্রী উচপ্রু চৌধুরীর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজগুরু বিহারের চাবি ও মূল্যবান সম্পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা।

প্রথাগত আইনে বোমাং রাজা রাজবিহারে বিহারাধ্যক্ষ নিযুক্ত করার নিয়ম রয়েছে। বিহারাধ্যক্ষ নিয়োগের ঘোষনাপত্রে রাজ পরিবারের সিনিয়র ৯জন সদস্যের সন্মতিপত্রের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। সে প্রথাগত আইন খঙ্গ করে ১৯৯৯ সালের ১৩ই জানুয়ারী নিজস্ব শিষ্য-ভক্তদের নিয়ে জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান থোয়াই চ প্রু মাস্টার এর সহযোগিতায় রাজগুরু বিহার থেকে বিহারাধ্যক্ষ উঃ আগাদামা ভান্তেকে অপসারণ করে জোর জবরদস্তি করে উচহ্লা ভান্তে নিজেই রাজগুরু বিহারের বিহারাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে উ পঞ্ঞা জোত মহাথেরোকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন তাঁর মৃত্যু হলেও তার শিষ্যরা দাবি করেন, তিনি ১৩ এপ্রিল সকালে মারা যান। এরপর অনেকটা গোপনে তার মরদেহ বান্দরবান না এনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার খৈয়াখালি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি উপেক্ষা করে উচহ্লা ভান্তের মিয়ানমারে বসবাস করা এক শিষ্যকে বান্দরবানে নিয়ে এসে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগের চক্রান্ত করা হয়।

আরও পড়ুন