শিল্পী মং মং সো গত প্রায় সাত বছর যাবৎ ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটিতে চায়না সরকারের বৃত্তি নিয়ে চারুকলার ছাত্র হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করেন। এর ভেতর বিশ্বের নানা দেশে তার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত ও পুরষ্কৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলায় জন্ম নেওয়া মং মং সোর শৈশবের একটা বড় অধ্যায় কাটে এই অঞ্চলের সমুদ্র, মাছ ধরা নৌকা আর জেলে পল্লীর পরিবেশে। নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি বাংলাদেশের এই সমাজের গল্প নিজের চিত্রকর্মে বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। শিল্পী মং মং সোর আঁকাআঁকির প্রিয় মাধ্যম জলরঙ।জলরঙের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ কতটুকু তা ছবিগুলো দেখলে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
মং মং সোকে তার নিজের শৈল্পিক যাত্রা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সন্তান। আমার বিকাশের জায়গাটা পুরোটায় আমার দেশ। সেই স্মৃতিগুলোই আমি আমার আঁকাআঁকির উপজিব্য করেছি।আমার শৈশবের নৌকাগুলো, যার ওপর থেকে আমি লাফ দিতাম পানিতে, কাদামাটি দিয়ে নৌকা বানিয়ে খেলা করতাম সেগুলোই আমার মনোজগতে আজও গেঁথে আছে।
জানাশোনা বিষয়গুলো নিয়েই আমি আমার প্রথম প্রদর্শনীটি করতে চেয়েছিলাম। ‘দ্যা সংস অব ফিশারম্যান’ আমার শৈশবের গল্প।আমার ফেলে আসা বাংলাদেশ।’
পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইউনান আর্ট একাডেমির সেক্রেটারি প্রফেসর হোয়াং ইয়েনলিং, ইউনান আর্টস ইউনিভারসিটি চ্যান্সেলর প্রফেসর কো হাউ, বাংলাদেশ কনসুলেট অব কুনমিং চায়নার কনসুলার জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটির ফাইন আর্টস একাডেমি প্রধান প্রফেসর চ্যান লিউ, দক্ষিণ এশিয়ার আর্ট এক্সচেঞ্জ এবং রিচার্স সেন্টারের প্রধান থিং ইউলুন, ইউনান আর্ট একাডেমির আন্তর্জাতিক আর্ট এক্সচেঞ্জ সেন্টারের প্রধান প্রফেসর হউ ইয়ুনফাং, দক্ষিন এশিয়ার আর্ট এক্সচেঞ্জ সেন্টারের শিক্ষক চাং টিং টিং।চিত্রকলা প্রদর্শনীতে ইউনানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, চিত্রশিল্পী মং মং সো এর বেড়ে উঠা বান্দরবানে। তিনি বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি পার্বত্য জেলার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল “পাহাড় বার্তা’র” একজন কলাম লেখক।