স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের মেঘলা এলাকায় গাছ পড়ে এবং পাহাড় ধসে এবং সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া এলাকার সড়ক পথ পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামের এবং বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের পলুপাড়া এলাকায় বন্যার পানিতে ব্রিজ তলিয়ে যাবার কারনে বান্দরবানের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ সকালে বন্যার পানি নেমে যাবার কারনে উভয় সড়কে যান চলাচল শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত তিন দিনের টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান সদরের মেম্বারপাড়া,মধ্যমপাড়া, ইসলামপুর, বনানীসমিল এলাকা, হাফেজ ঘোনা, আর্মিপাড়া এলাকা ডুবে গেলেও গতরাত থেকে বন্যা মুক্ত হয়ছে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা। অন্যদিকে থানচি উপজেলার রেমাক্রি , ছোটমদক ও বড়মদক এলাকায় পর্যটকবাহী নৌচলাচল শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান পূরবী পরিবহণ বাস সার্ভিসের ম্যানেজার পরিতোষ দাশ বলেন, সকাল থেকে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল আংশিক চালু হলেও এখন পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।
এদিকে টানা দুদিনের প্রবল বর্ষনে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বন্যা ও পাহাড় ধসে ৬জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। আর এই ঘটনার পর নিহতের পরিবারের পাশে থাকতে আজ বুধবার দুপুর দুইটার পর রাঙামাটি সফররত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বান্দরবানে আসছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্র জানান, বুধবার দুপুরে বান্দরবান এসে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বান্দরবান শহরের মডেল প্রাইমারি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করবেন। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য জেলার তিন জেলা প্রশাসন ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্ধৃতি দিয়ে পাহাড় ধসের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বান্দরবানে ৬জন, রাঙামাটিতে ৯৯ জন এবং খাগড়াছড়িতে ১ জন বলে জানান এবং তিনি আরো জানান, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
1 মন্তব্য
bandorban a ki nilachol a jauaa jay?