বান্দরবানের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসকে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা
অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টায় এই রায় ঘোষণা করেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আল মামুন। পরে রাত দেড়টায় আবদুল কুদ্দুছকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এএইচএন ইটভাটা মালিক আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যানকে ফোনে করে জুডিশিয়াল আদালতে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যাক্তিগত মোবাইল জব্দ করেন এবং বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কেমিস্ট সামিউল আলম কে নিয়ে এএইচএন মালিকসহ জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত ইটভাটাটির উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে দীর্ঘ অভিযান শেষে তাঁরা রাতে বান্দরবান শহরে ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষ করে রাত একটায় সাজার রায় ঘোষণা করেন।

এবিষয়ে,পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলার দায়িত্বশীল কেমিস্ট সামিউল আলম জানিয়েছেন,তাজিংডং ইটভাটার মালিকানা স্বীকার করায় তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রায় দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং পরবর্তী শুনানি তে এই ইটভাটা কে জরিমানা করা হয়েছিলো এবং তিনমাসের ভেতর ইটভাটাটি অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর কতৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে ইটভাটাটির মালিক হিসাবে খামলাই ম্রো এবং বিপ্লব গং কে জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর কেমিস্ট ইটভাটাটির জমি ভাড়া নেয়া চুক্তিপত্রে কুদ্দুছ চেয়ারম্যান এর নাম না থাকার পরও তিনি কিভাবে সাজা পেলেন এর কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে কুদ্দুছ চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ পুত্র মিজানুর রহমান এর স্ত্রী মিসেস জিহান বলেন, আমার শ্বশুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তারচেয়ে বড় বিষয় তাজিংডং ইটভাটার চুক্তি পত্রে আমার শশুরের নাম নাই। চুক্তি পত্র যাচাই করা হলেই দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে খামলাই ম্রো,মিজানুর রহমান এবং বিপ্লব মার্মাই এই ইটভাটার যৌথ অংশীদার।
এদিকে কুদ্দছ চেয়ারম্যান পুত্র লুৎফুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার নথি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিবো, আমরা আপিল করবো।