মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনে বান্দরবানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বান্দরবানের ৪০টি দুর্গাপূজা মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কামরুজ্জামান এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের ২৬টি পূজামন্ডপের মধ্যে ২১টি গুরুত্ত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ ও পাঁচটি সাধারণ পূজামন্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পূজামন্ডপে পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে ডিএসবি’র অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৬টি অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার উপজেলাগুলোতো ইতিমধ্যে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক পথসহ চেকপোষ্টগুলো দিয়ে আসা প্রতিটি গাড়ীতে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। লামাসহ বিভিন্ন উপজেলার নাগরিকদের অযথা হয়রানি এড়াতে জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে রাখার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওযা হয়েছে।
সদর সার্কেল মো. কামরুজ্জামান এসময় তিনি উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সদর সীমান্তে ও ঘুমধুম সীমান্তে কাঁটাতারের সীমান্তবর্তী স্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৯ রোহিঙ্গা ও এক জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এছাড়াও আরও ৯ জন বাংলাদেশি ও ১ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। তবে এগুলোকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের শাপমারা ঝিরি ও বড় ছনখোলায় এক নারী ও দুই পুরুষসহ তিন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সম্মলনে বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা,সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম সুমনসহ বান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।