‘‘সবার জন্য কিছু’’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলার জাদি পাড়ার হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের প্রকল্প অফিসে এ দিবস পালন করা হয়।
বাংলাদেশে ভূমিধসের পূর্ব সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এ দিবস পালন করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় প্রকল্প ব্যবস্থাপক রামবাদু ত্রিপুরা (স্টিভ) বলেন, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের আমরা পূর্বসতর্কতা পাই কিন্তু ভূমিধসের আগাম কোন সতর্কতা পাই না। কীভাবে ভূমিধস থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকাদের সচেতন করতে হবে।এছাড়াও দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকরা বড় অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানের অতিথি হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মং মং সিং বলেন, মানব সভ্যতার শুরু লগ্ন থেকেই স্বেচ্ছাশ্রম ও স্বেচ্ছাসেবার মানসিকতা থাকার কারণে মানব সমাজ এই পর্যন্ত এগিয়ে আসতে পেরেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট লেবেল অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, “একজন দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক একটি দেশের অনেক বড় শক্তি ও সাহস। তাদের মাধ্যমে অনেক মানুষ তার জীবন বাঁচাতে পারে। নিঃশর্ত এই সেবার কোন দাম হয় না।
এদিকে আয়োজকরা জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে জাতিসংঘ এ দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬০ টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবস পালন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সিভিজি দল ছাড়াও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বান্দরবান অফিসের আবহাওয়াবিদ জনাব সনাতন কুমার মন্ডল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিনিধি মো: ইফতেখার উদ্দিন, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট লেবেল অফিসার নাসরিন আক্তার, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং কারিতাস ও হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প কর্মীসহ মোট ৪৮ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভূমিধসের পূর্ব সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তামূলক” প্রকল্পটি ইউএসএআইডির অর্থায়নে এবং সিআরএস এর কারিগরি সহায়তায় কারিতাস বাংলাদেশ, চট্টোগ্রাম অঞ্চল স্থানীয় এনজিও হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন ও তহ্জিংডং সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বান্দরবান সদর উপজেলা, লামা উজেলা ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সহ মোট ৯টি ইউনিয়েনে কাজ করছে।