বান্দরবানে উদ্বোধন হলো সেনাবাহিনীর এমডিএস হাসপাতাল

NewsDetails_01

বান্দরবানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর এমডিএস হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আধুনিক এই হাসপাতালটিতে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।

৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নির্মাণ করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। আজ ৫ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বান্দরবান সদরের ৭ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর মাঠে এই নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন।

NewsDetails_03

এসময় সেনাবাহিনীর ৬৯পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক (এনডিসি এএফ ডব্লিউসি,পিএসসি), জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল আখতার উস সামাদ রাফি (বিএসপি,পিএসসি), নবাগত জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মঈনুল হক (এসইউপি,পিএসসি), ৭ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক (এমপিএইচ),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন,রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ,ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মংটিংঞো, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো.ইয়াছির আরাফাত,উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.এরশাদ মিয়াসহ বান্দরবান সেনা রিজিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সেনাবাহিনীর ৬৯পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক (এনডিসি এএফ ডব্লিউসি,পিএসসি) বলেন,সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি এলাকার গরীব ও দু:খীদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় দু:স্থ ও গরীব রোগীদের পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়া রোগীদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ এবং ভাল্লুকের আক্রমনে মারাত্মক আহত রোগীদের দুর্গম এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে সদরে এনে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা দিয়েছে এবং আগামীতে এই স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারন মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সেনাবাহিনীর অবদান অতুলনীয়। এই নবনির্মিত হাসপাতালের মাধ্যমে আগামীতে সামরিক-অসামরিক ব্যাক্তিবর্গ তাদের পরিবারের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন