পবিত্র বর্ষাবাস শেষে মহতী প্রবারণার পর প্রতিটি বৌদ্ধ জনপদে দান শ্রেষ্ঠ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করা হয়। জনপদ হতে জনপদে মহান ভিক্ষুসংঘের মুখে ধ্বনিত হয় বুদ্ধের বচনামৃত। নর-নারীরা মাতোয়ারা হয় ধর্মসুধা পান ও সংঘ দর্শনের আনন্দে । এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নানা আয়োজনে বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দানৎসব অনুষ্টিত হচ্ছে। শনিবার সকালে কঠিন চীবরদানৎসব উপলক্ষে বান্দরবানের জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহারে চলে নানা ধর্মীয় আনুষ্টানিকতা।
সকাল থেকে শুরু হয় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন,পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ,জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন,সংঘদান,ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান ও ধর্মীয় আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসুচি।
অনুষ্টানে চট্টগ্রামের শীলঘাটা পরিনির্বান বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত রতœপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১,২,৩ নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর উজলা তংচঙ্গ্যা,পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের মহাসচিব উ:তেজপ্রিয় থের ,ঢেমশা শাখ্যমুণি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শীলানন্দ মহাথের,বান্দরবান কালাঘাটা আম্রকানন বৌদ্ধ পল্লী গৌতম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সংঘপ্রিয় মহাথের ,জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্টাতা ভদন্ত সত্যজিৎ থের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি চট্টগ্রামের নির্বাহী সদস্য অশোক বড়ুয়াসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে কার্তিকী পূর্ণিমার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত প্রতিবছর এই এক মাসের মধ্যেই বৌদ্ধধর্মালম্বীদের ‘কঠিন চীবর দান’ অনুষ্ঠানটি পালন করে। যে সমস্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য জন্য নির্দিষ্ট বৌদ্ধ বিহারে ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস সম্পন্ন করে,তাদেরকে গৃহস্থেরা নিজ হাতে তৈরি চীবর দান করে বলে এই কঠিন চীবর দানোৎসব বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।