বান্দরবানে করোনা ল্যাবের জন্য জরুরী পত্র পাঠালেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর

NewsDetails_01

করোনা পরীক্ষার দ্রুত প্রতিবেদন পেতে এবার বান্দরবানে করোনা ল্যাব স্থাপনের জন্য জরুরী পত্র পাঠালেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর।

আজ ৯ জুন মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পত্রে বলা হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একটি দূর্গম, পাহাড়ী ও অনগ্রসর জনপদ। বান্দরবান জেলা সদরে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে অত্র জেলাসহ পাশ্ববর্তী ৭/৮টি উপজেলায় বসবাসরত জনসাধারণ প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে থাকে। চলমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অত্র হাসপাতালে কোন ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই। নেই কোন আই.সি.ইউ, নেই কোন সি.সি.ইউ এর ব্যবস্থা। বর্তমান বাস্তবতায় এগুলো অতীব জরুরী।

পার্বত্য মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের করোনা সনাক্ত হলে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় জরুরী ভিত্তিতে হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকা সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পাওয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার সহায় বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসার বিষয়টি কল্পনাতীত। অত্র অঞ্চলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

NewsDetails_03

এহেন পরিস্থিতিতে অত্র জেলায় কোন পরীক্ষাগার/ল্যাব না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হলে ১৫/২০দিন পর রিপোর্ট পাওয়া যায়। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় অন্যান্য উপজেলার ন্যায় এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। এ কারণে অত্র অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ ও ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

তাই, বান্দরবান পার্বত্য জেলাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণের করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে বান্দরবান সদর হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে পরীক্ষাগার/ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জনস্বার্থে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মহোদয়ে সদয় সহানুভূতি কামনা করছি।

সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা হলে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ০৭টি উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২০/২৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে বলে তিনি পত্রে উল্ল্যেখ করেন।

আরও পড়ুন