পাহাড়ের থেমে নেই খুন, হত্যা কিংবা অপহরণ মূলক অপরাধ। সমান্য বিষয় নিয়ে খুন, হত্যা আর চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় করা হচ্ছে অপহরণ।
বিশেষজ্ঞের মতে, জেলার অভ্যন্তরে আঞ্চলিক সংগঠনদের সাম্রাজ্য বিস্তার, পাশাপাশি কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ, মাদক চোরাকারবারিরা নিজেদের অবস্থান ঠিকিয়ে রাখতে অনেক সময় হত্যা কিংবা অপহরণমূলক ঘটনা সংগঠিত করে প্রতিপক্ষকে অবস্থান জানান দেয়। আর এই নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন পাহাড় বার্তা’র গবেষণা সেল এর প্রধান সুহৃদয় তঞ্চঙ্গ্যা।
পাহাড়বার্তা গবেষণা সেল এর তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বান্দরবান জেলায় খুন হয়েছে অন্তত ১ জন। অপহরণ করা হয়েছে ২ জনকে, পরে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ১ লা সেপ্টেম্বরে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় ব্রাশ ফায়ারে যুবলীগ নেতা মং চ উ মারমাকে হত্যা করা হয়। একই মাসের ২৮ শে সেপ্টেম্বর জেলার রোয়াংছড়িতে ৫-৭ জন অস্ত্রধারী উথোয়াইয়ই মার্মা(৫৪) নামে একজনকে অপহরণ করা হয়। এই সময় আরেকজনকে অপহরণ করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার পাহাড়বার্তাকে জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক দ্বন্ধের কারণে বান্দরবান জেলায়ও এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে। যুবলীগ নেতা মং চ উ মারমা’র ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তবে জেরার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে কেউ মামলা কিংবা পরামর্শ নিতে আসেনি।