বান্দরবানে গত ৩ মাসে আত্মহত্যা করেছে ৬ জন : এগিয়ে লামা

purabi burmese market

পারিবারিক বিরোধ, স্বামী স্ত্রীর মনমালিন্য, ভুল বুঝাবুঝি কিংবা মান অভিমান নিয়ে অনেকে অতিরিক্ত আবেগ প্রবণ হয়ে বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুল বোঝাবুঝি এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে আবেগ প্রবণ হয়ে আত্মহননের অধিকাংশ ঘটনা ঘটে। তুলনামূলক ভাবে দেখা যায়, বান্দরবান জেলার মধ্যে এই বছর শুরুর দিক থেকেই লামা উপজেলায় অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেছেন পাহাড়বার্তা’র গবেষণা সেল এর প্রধান সুহৃদয় তঞ্চঙ্গ্যা।

পাহাড় বার্তা’র গবেষণা সেল এর তথ্য অনুসারে দেখা যায়,২০২১ সালের জানুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আত্মহত্যার ৬ টি ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ৫টি ঘটেছে লামা উপজেলায়।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫’ই ফেব্রুয়ারী জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্যারমার পাড়া নামক স্থানে স্বামীর সাথে অভিমান করে ইয়াসমিন আক্তার(২০) নামে একজন আত্মহত্যা করে। ১০’ই ফেব্রুয়ারী সরই ইউনিয়নের মা-বাবার সাথে অভিমান করে তাছলিমা বেগম (১৮) নামে আত্মহত্যা করে আরেকজন এবং একই মাসে ১৪ ফেব্রুয়ারী খেলার ছলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বর্ণা আক্তার নামে (৯) এক শিশুর মৃত্যু ঘটে।

প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, ১১ ও ১৯ মার্চ স্ত্রী সাথে অভিমান করে শফিক মিয়া (৩৪) এবং লামা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয় শাপলু মোহর (৩২)সহ আত্মহত্যা করে দুইজন।

dhaka tribune ad2

এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, আত্মহত্যাকারীরা অনেকের অজ্ঞতা এবং অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ মানুষ। মানসিক দিক দিয়ে দূর্বল হওয়ার কারণে, এমন ঘটনা ঘটছে। স্কুল কলেজ গামী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সচেতনমূলক আলোচনা করলে আত্মহত্যার সংখ্যা কমে আসবে।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে ২৫-৩০ বছর বয়সের নিচে থাকা মানুষদের। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।