বান্দরবানে গত ৭ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন, আহত শতাধিক

বাংলাদেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় বিভিন্ন নিহতের সংখ্যার মধ্যে ৬৪ জন নিহত হওয়ার সংখ্যা সর্বোচ্চ। সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রভিনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ(সিআইপিআর)-এর জরিপে এই তথ্যটি উঠে এসেছে।

জেলার সড়কগুলো বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় লোকাল গাড়িগুলো অধিকাংশ ফিটনেসবিহীন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে করছে চলাচল। পার্বত্য জেলার অধিকাংশ রাস্তা পাহাড়ি উঁচুনিচু ঢালু হওয়ার কারণে দূর্ঘটনা বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, পাহাড় বার্তা’র গবেষণা সেল এর প্রধান সুহৃদয় তঞ্চঙ্গ্যা।

পাহাড় বার্তা গবেষণা সেল এর তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাসে বান্দরবান জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২১ জন, আহত হয়েছে শতাধিক।

বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ওভার ক্রস, প্রতিযোগিতা মূলক গাড়ি চালানোর জন্য দূর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

জরিপে দেখা যায়, জেলার অভ্যান্তরির অধিকাংশ গাড়ি ফিটনেসবিহীন, মোটর সাইকেল ড্রাইভারদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং পাহাড়ি রাস্তায় অভিজ্ঞতা না থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

চকরিয়া – লামা/আলীকদম সড়কের বাস মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হোসেন কোম্পানি জানান, লামা চকরিয়া রোড় পাহাড়ি রাস্তা হওয়ায় দূর্ঘটনা হচ্ছে। বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বারবার ড্রাইভারদের সচেতন এবং সতর্ক করাও হচ্ছে।

গাড়ির ফিটনেস এর কথা জানতে চাইলে জানান, বাস ড্রাইভারদের সবার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তবে গাড়ির ফিটনেস এর সমস্যা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এই সমস্যা সমাধান নিরসন করতে বাস মালিকদের সচেতন হওয়া উচিত।

আলীকদম উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদ ইকবাল জানান, বান্দরবান জেলা পাহাড়ি উঁচুনিচু ঢালু এবং আঁকাবাঁকা রাস্তা হওয়ার কারণে দূর্ঘটনার ঝুঁকি একটু বেশি। তিনি বলেন, তবে আগের তুলনায় অনেকাংশেই দূর্ঘটনা কমেছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। লামা ও আলীকদম প্রশাসন প্রতিটি মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আমরা সবার সাথে আলোচনা করেছি এবং জেলার প্রতিটি উপজেলাতেও সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।