বান্দরবানে গলাকাটা দাম নিচ্ছে সেলুন

NewsDetails_01

বান্দরবানে করোনা ভাইরাসের অজুহাতে সেলুন মালিক সমিতির নির্ধারিত মূল্য অমান্য করে শহরের প্রধান বাজার,পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন সেলুনে গলাকাটা দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে একই কাপড় একাধিক ব্যক্তির গায়ে জড়িয়ে চুল দাঁড়ি কাটা এবং স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন সেবা গ্রহীতা। ফলে একাধিক ব্যক্তির চুল দাঁড়ি কামানো নাপিতের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পরতে পারে মরনঘাতী এই ভাইরাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকার সেলুনগুলোতে নেই সচেতনতার বালাই। নরসুন্দররা ইচ্ছে মতো একই কাপড় পাল্টে চুল দাঁড়ি কামিয়ে যাচ্ছেন নাপিত। সেলুনে প্রবেশের আগে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে সাবান দিয়ে হাত ধুলেও অনেকেই সেসব আমলে নেন না। ইচ্ছেমত চলাফেরা করে এসে ঝুঁকি নিয়েই বসে পরেন সেলুনে।

সময় টিভির বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি এস বাসু দাশ পাহাড়বার্তা’কে জানান, তিনি জজকোট এলাকার জেমস হেয়ারে শুধুমাত্র চুল কেটেছেন, একশ টাকা দিতেই এই টাকা রেখে দেন, সেটি উন্নত মানের কোন সেলুন নয়।

NewsDetails_03

তিনি আরো বলেন, চুল কাটা ১শ টাকা কিনা প্রশ্ন করা হলে দোকান মালিক বলেন, চুল কাটা এখন ১শ টাকা। তিনি আরো বলেন, করোনার সময়ে চুল কাটতে জনপ্রতি বেশি নিলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা নিতে পারে, কিন্তু তারা কিভাবে সেলুন মালিক সমিতির নির্ধারিত মূল্য তালিকা অমান্য করে ১শ টাকা নিচ্ছে এটা প্রশাসনের দেখা উচিত।

বান্দরবানে সেলুনে বাড়তি টাকার নেওয়ার যত অভিযোগ:
বান্দরবানের নোয়াপাড়ার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা বলেন, জজ কোর্ট এলাকা সংলগ্ন জেমস হেয়ারে একজন নাপিত রনি, সে শুধু চুল কেটে ১শ টাকা নেয়, যা মোটেও কাম্য নয়। একই অভিযোগ রয়েছে, শহরের শিবু হেয়ার ড্রেসারসহ বাজারে বিভিন্ন সেলুনে। হোম সার্ভিস ছাড়াই তিন নাম্বার এলাকার জনি সেলুনে এই করোনা মহামারিতে জনপ্রতি চুল ও সেভ করা ২৫০-৩০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ রয়েছে, শহরের গোরস্তান মসজিদের শিবু সেলুনে, সেলুনটিতে চুল ও সেভ করতে নিচ্ছেন ৩০০-৩৫০ টাকা।

বান্দরবান সেলুন সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শীল পাহাড়বার্তা’কে বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া ও দোকান খোলার বিষয় নিয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। কষ্টে আছে, তাই বেশি টাকা নিচ্ছে, তবে এতো টাকা নেওয়ার কথা না।

তবে সচেতন নাগরিকদের মতে, এসকল ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর হবার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র মৌখিক সিদ্ধান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিয়মিত তদারকি করা গেলে সেলুনে বাড়তি টাকা নেওয়া বন্ধ হবে। বিশেষ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে শহরের সেলুনগুলোর মুনাফা লুটের এই ঘটনা থেকে মুক্তি মেলতে পারে স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন