বান্দরবানে পার্বত্য জেলায় চুরি হচ্ছে একের পর এক মোটর সাইকেল। গেল এক মাসে চুরি হয়েছে ১০ টিরও বেশী মোটর সাইকেল। সিসিটিভি ফুটেজে চোর সনাক্ত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পরও লাগাতার বাইক চুরি হওয়ায় আতঙ্কে আছে জেলার বাইক চালকরা।
সরেজমিনে জানা যায়, গেল ২২ জুলাই গভীর রাতে ২টি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর সিন্ডিকেটের ৩ সদস্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এমন দৃশ্য। শুধু তাই নয় চুরির আগে রাতের বেলা এলাকায় চোরদের অবস্থানও ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। সিসিটিভি ফুটেজে বাইক নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এবং চোরদের চেহারা শনাক্ত হলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। গেল একমাসে হঠাৎ করেই বান্দরবানে দেখা দিয়েছে বাইক চুরির ঘটনা। প্রতিদিন রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি হচ্ছে মোটর বাইক। রাতের বেলা বাড়ীর উঠান ও বাসার ভেতর থেকে লক ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে মোটর সাইকেল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা, চেকপোস্ট ও রাতে পুলিশ পেট্রল থাকার পরও একের এক বাইক চুরি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বান্দরবানে।
চুরি হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল এর মালিক মিজানুর রহমান বলেন, গত ২২ জুলাই আমার বাসা থেকে দুটি পালসার মোটর সাইকেল চুরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা করেছি। তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫-২০ বছর ধরে মোটর সাইকেল ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কোনদিন হয়নি। হঠাৎ করে বান্দরবানে মোটর সাইকেল চুরি বেড়ে গেছে। প্রশাসনের মাধ্যমে চুরি হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল ফিরে পেতে এই যুবক।
এদিকে বান্দরবানের স্থানীয় মোটর সাইকেল চালকরা বলেন, আমরা আমাদের শখের বাইক নিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকি। কখনো বাইকটি চুরি হয়ে যায়। সব ধরনের সিকিউরিটি ব্যবহার করার পরও কয়েকবার উঠে দেখি বাইকটি আছে কিনা। প্রশাসনের নজরদারীর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন অলি গলিতে সিসি ক্যামরা লাগোনোর জোর দাবী জানান স্থানীয় বাইকাররা।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার বলেন, যেভাবে মোটর সাইকেল চুরি যেটা চালিয়ে তারা নিয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেক্ষটা রাস্তাকে আমরা কাভার করি এবং বিভিন্ন জায়গায় আমরা নতুন করে চেকপোষ্টও বসিয়েছি। যেখান দিয়ে বাইকগুলো নিয়ে তারা চলে যাচ্ছে। আমার মনে হয় যে আমাদের নিরাপত্তা বলয়টাকে আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে চুরিগুলো হ্রাস পাবে। শুধু তাই না যে আমরা চুরিদেরকেও ধরতে সক্ষম হব। চুরি যারা করে সে গ্যাং গুলোও ধরা পড়বে। ধরা পড়লে পরবর্তীতে চুরির সংখ্যা আরও কমবে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গেল এক মাসে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হয়েছে ১০ টির ও বেশী মোটর বাইক।