বান্দরবানে ছাত্রীর সাথে এ কেমন আচরন শিক্ষকের !

নাইক্ষ্যংছড়ির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক নিজ বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তুমব্রু এলাকার এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে অবৈধ মেলামেশাসহ আপত্তিকর সম্পর্কের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, একজন শিক্ষা গুরুর এই যদি হয় কর্মকান্ড তাহলে শিক্ষার্ত্রীরা যাবে কোথায়। আর এ নিয়ে এস বাসু দাশ এর বিশেষ প্রতিবেদন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুমব্রু এলাকার এক ব্যক্তির শিশু কন্যা, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর এই ছাত্রী। গত কয়েক বছর আগে এই ছবিগুলো ধারণ করা হলেও এখন তা প্রকাশ পায়। এই শিক্ষক শুধু এই ছাত্রী নয়, সম্প্রতিক সময়ে তিনি বিদ্যালয়টির আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর সম্পর্ক গড়ে তুলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবুল হকের বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক। ভাইয়ের প্রভাবে তিনি বিদ্যালয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড সংঘটিত করে পার পেয়ে নিত্যনতুন অপরাধ করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাইক্ষ্যংছড়ির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক নিজ বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায়
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক বারেকুল মোস্তফা ইমরান বলেন, মাষ্টার মুজিবের বড় ছেলে এসএসসি পাশ করে বর্তমানে কক্সবাজার সিটি কলেজে অধ্যয়নরত আছে,একটা মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে, তার উপযুক্ত দুইটা ছেলে মেয়ে থাকার পরও সে ছাত্রীদের সাথে কেন অবৈধ কাজে লিপ্ত হয় ? তিনি বার বার অপরাধ করে মিথ্যা অপবাদ বলে চালিয়ে দেন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার বড় ভাই হামিদুল হক।
নাইক্ষ্যংছড়ির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক নিজ বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায়
এদিকে একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন ঘটনায় জেলা জুঁড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে, অনেকে এই ঘটনার পর নিজ সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর বিষয়ে উদ্ভেগের বিষয় তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন, আবার অনেকে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে সবাইকে সোচ্ছার হতে আহবান জানান।
এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন শিমুল বলেন, শিক্ষকরা যদি ছাত্রীদের এই ভাবে করেন,তাহলে মা -বাবা তার সন্তানদের স্কুলে পাঠাবে না, আমি এর শাস্তি দাবী করছি।
অন্যদিকে ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর ছবি প্রসঙ্গে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক বলেন, ছাত্রীর সাথে এই ছবিগুলো সত্যি, আমি অস্বিকার করছিনা। তিনি আরো বলেন, আমি এর জন্য লজ্জিত, সবার কাছে ক্ষমা চায়।

আরও পড়ুন