বান্দরবানে আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমা হত্যাসহ তিনটি মামলায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১১ জন নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন নাহারের আদালতে কারাগার থেকে আসামীদের হাজির করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে বান্দরবান সদর উপজেলার উজীপাড়া খামার বাড়ি থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী মেসাচিং মারমার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠিনক সম্পাদক কেএসমং মারমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, জনসংহতি সমিতির নেতা বাসিং মং মারমা, মেরুং মারমা, চাইহ্লা মারমা উভয়কে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
অপরদিকে গত ১৮ মে রাজবিলা ইউনিয়নের ক্যচিং থোয়াই মারমা হত্যা মামলায় গ্রেফতার জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী জয় তংচঙ্গ্যা, দিপন তংচঙ্গ্যা, মিন থোয়াই অং মারমার প্রত্যেককে ৫ দিন করে এবং গত ৯ মে জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা হত্যা মামলায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী উচিং মং মারমা, মংতু মারমা, উসাইনু মারমার প্রত্যেককে ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসামীদের আদালত থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এই ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলায় পৃথকভাবে ১১ জন আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। একই দিন অপহরণ করা হয় পুরাধন তংচঙ্গ্যা নামের অপর কর্মীকে,তার সন্ধান মেলেনি। গত ৯ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯ মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সর্মথক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ গত ২২ মে বান্দরবান আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমাকে হত্যা করা হয়।