বান্দরবানে দোকানে দোকানে তৈরী করা হচ্ছে মার্কিং জোন
বান্দরবান জেলার তিন উপজেলা লক ডাউন ঘোষনার পর জেলা জুঁড়ে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আর এই আতংকের মধ্যে করোনা ভাইরাস রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি তরুণরা বিভিন্ন ধরণের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে। আর এই তরুণরাই বিভিন্ন ধরণের প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রাখতে স্বপ্রনোদিত হয়ে মার্কিং জোন তৈরী করছে। অধিকাংশ দোকানের সামনে সড়কের উপর ৩ ফুট দূরত্বে সাদা রং দিয়ে চতুভূজ চিহ্নিত করে মার্কিং জোন তৈরী করে তারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার লক ডাউন হওয়া উপজেলা আলীকদম, বান্দরবান শহরের বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সরকার নির্দেশিত খোলা বিভিন্ন দোকানে এই মার্কিং জোন তৈরী করা হয়েছে। গ্রাহকরা যাতে দূরত্ব বজায় রেখে দোকান থেকে ওষুধ,নিত্যপণ্য কিনতে পারে সেজন্য এই মার্কিং জোন তৈরী করা হয়েছে। এসময় তারা করোনা সচেতনতাই মাইকিং করে প্রচার প্রচারনা চালাতে দেখা যায়। আর অভিনব এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অনেকে।
জেলার আলীকদম উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক জয়দেব রাজ জানান, আলীকদম উপজেলার বাজার এলাকায় খোলা দোকানগুলোর সামনে দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটার জন্য মার্কিং জোন তৈরী করা হয়েছে, অনেকে দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পণ্য কিনতে দেখা গেছে।
আরো জানা গেছে, ইতিমধ্যে বান্দরবান শহরের ২৫টি দোকানে ও আলীকদম উপজেলার ১০টি দোকানের সামনে সাদা রং দিয়ে মার্কিং করা হয়। আগামীতে জেলার অন্য উপজেলার দোকানগুলোর সামনে মার্কিং জোন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। এর ফলে করোনা সংক্রামন ছড়িয়ে পড়া থেকে স্থানীয়রা রক্ষা পাবে বলে মনে করছে মার্কিং জোন তৈরী করার উদ্দ্যোগতারা।
এই ব্যাপারে বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ি শিমুল দাশ বলেন, আমরা তরুণরা মিলে নিজের টাকায় শহরের দোকানের সামনে এই মার্কিং জোন তৈরী করছি। আমাদের দেখাদেখি আশাকরি ব্যবসায়িরা তাদের দোকানের সামনে এই ব্যবস্থা করবেন, তাতেই করোনা সংক্রামন কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে।
আরো জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জেলার তরুন-তরুণীদের নিয়ে গড়া ৩শ জন সেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষন প্রদান করে, এসময় বান্দরবানের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের গামবুট, মাস্ক, রেইন কোট, গ্লাবস ও স্প্রে মেশিন প্রদান করা হয়। সেচ্ছাসেবকরা বান্দরবান পৌর এলাকার ৯ ওয়ার্ডে ৯টি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে, সেই সাথে জন সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আলীকদম স্টুডেন্ট ফোরামের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করা মোঃ ইয়াকুব আলী ও সাইফুর ইসলাম রিমন বলেন, নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করা। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের এ উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত,বান্দরবানে কোয়ারেন্টিনে আছে ৫৯ জন। তারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৯জন। প্রতিষ্টানিক কোয়ানেন্টিনে ১০জন। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে অবমুক্ত ২৩ জন। হাসপাতাল কোয়ারেন্টিন থেকে অবমুক্ত ১ জন এবং সেনা-পুলিশের টহলের পাশাপাশি লকডাউন করা হয়েছে জেলার ৭টি উপজেলার লামা,আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে।