বান্দরবানে নানা আয়োজনে মধু পূর্ণিমা পালিত

বান্দরবানে নানা আয়োজনে মধু পূর্ণিমা পালন
আজ বৌদ্ধধর্মালম্বাীদের শুভ মধু পূর্ণিমা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পূণ্যস্মৃতি বিজরিত এ দিনটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করছে।
মধু পূর্ণিমার অপর নাম ভাদ্র পূর্ণিমা। ভাদ্র মাসে এ পূর্ণিমা তিথি অনুষ্ঠিত হয় বলে মধু পূর্ণিমাকে ভাদ্র পূর্ণিমা বলা হয়। মধু পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে বৌদ্ধধর্মালম্বীরা দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে।মঙ্গলবার সকাল থেকে মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে নানা বয়সের পূজারিরা জেলার নিজ নিজ বিহারে সমবেত হয়ে মধু দান করেন ভক্তরা। এছাড়াও ফুল পূজা,কাঁচা ফল পূজা, পানীয় পূজা,মোমবাতি ও আগরবাতি পূজাসহ নিজ হাতের তৈরি পিঠা ও ছোয়েং (আহার) দান করেন।
সন্ধ্যায় নর-নারী, দায়-দায়িকা,উপ-উপাসীকাবৃন্দ সমবেত হয়ে নিজেদের ঐতিহ্য পরিধান পোষাক পড়ে ভগবানের উদ্দেশ্যে বিহারে নগদ অর্থ দান,মোমবাতিও হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান,পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন ভক্তরা। ওইসময় বান্দরবান রাজবিহারে অধ্যক্ষ ধর্মগুরু উপঞয়ঞা মহাথের(উচহ্লা ভান্তে) সবার উদ্দেশে ধর্ম দেশনা ও দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, কতিথ আছে গৌতম বুদ্ধ বনে বর্ষা যাপন কালে একটি একাচারী হাতি প্রতিদিন বুদ্ধের সেবা করত। বিভিন্ন জায়গা থেকে বনের ফল সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করত। এ সময় বনের একটি বানর হস্তীরাজ কর্তৃক বুদ্ধকে সেবা করতে দেখে তারও বুদ্ধকে পূজা করার ইচ্ছা জাগে। ভাদ্র পূর্ণিমাতে সে একটি মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করেন। মৌচাকে মৌমাছির ছানা ও ডিম থাকায় বুদ্ধ প্রথমে মধু পান করলেন না। বানর তা বুঝতে পেরে মৌচাকটি নিয়ে ছানা ও ডিম পরিষ্কার করে পুনরায় বুদ্ধকে দান করলে এবার বুদ্ধ দানীয় মধু পান করেন। পারিলেয়া বনে হস্তিরাজ কর্তৃক ভগবান বুদ্ধের সেবাপ্রাপ্তি ও বানরের মধুদানের কারণে এ দিনটি বৌদ্ধদের কাছে স্মরণীয় ও আনন্দ-উৎসবমুখর পুণ্যময় একটি দিন। তাই দিনটিকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা যথাযথ মর্যাদাপূর্ণভাবে পালন করে থাকে।

আরও পড়ুন
2 মন্তব্য
  1. Jack Marma Marma বলেছেন

    sadhu 3

  2. Ucha Wing Marma বলেছেন

    Sadhu3

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।