বান্দরবানে জমকালো আয়োজনে তিন দিনব্যাপী পর্দা উঠল গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালের ।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতকি ইনস্টিটিউটে এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল এর উৎসব সমন্বয়ক আসমা আক্তার লিজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিয়ং ইয়ং ম্রো, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মং নু চিং , বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জানান,‘‘একটি সংস্কৃতি হারালে, একটি জাতি হয়তো হারিয়ে যেতে পারে । বিশ্বায়নের যুগে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতি ৫০ বছর টিকে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় আছে । এর পরও নিজের মূল সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে হবে । সংস্কৃতি হলো ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক । নিজের সংস্কৃতি যেনো কোন মতেই ধ্বংস না হয় । নিজের সংস্কৃতি ধরে রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ।
এদিকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে পরিবেশন করা বান্দরবান পার্বত্য জেলার বম, ত্রিপুরা সহ ১১ ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নৃত্য ও গান ।
সিনেমা বাংলাদেশ এর সভাপতি ও প্রযোজক হেমন্ত সাদিক জানান, বিশ্বের ৭০ টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবার জমা পড়েছে। এর মাঝে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৩৫টি দেশের ৭১ টি চলচ্চিত্র ।
তিনি আরো জানান, বিচারকদের রায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ৭টি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করা হবে ২৮ ডিসেম্বর ।
এবারে ৬৫টি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি তৈরি করেছেন ১৪-২৮ বছর বয়সী নির্মিতা তরুণরা । পুরো দেশব্যাপী চিন্তা ও সুযোগের ক্ষেত্রের বিস্তারের জন্য জেলায় এরকম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসবে এবার কোনো বিদেশী নির্মাতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা ।