এ বছর বান্দরবান জেলায় ২৭টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি মণ্ডপে দুর্গা দেবীর মূর্তির পাশাপাশি আরও ৬-৭টি মূর্তি থাকায় প্রতিটিকেই রংয়ের আঁচড়ে স্বরূপে ফেরাতে নির্ঘুম রাত কাটছে কারিগরদের। শেষ মুহূর্তে প্রতিমাগুলোকে রাঙাতে শিল্পীরা ছুটে যাচ্ছেন এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে। বান্দরবানের প্রতিটি পূজা মণ্ডপেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা; চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ।
কথা হয় বান্দরবান কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কারিগর মঙ্গল পালের সাথে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খুব ভালভাবেই প্রতিমা তৈরি ও শুকানোর কাজ শেষ করতে পেরেছি। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের রংয়ের কাজ, সাজানো-গোছানো কাজ। অপরদিকে এ কাজে দক্ষ কারিগর না থাকায় নিজেদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে, তবে প্রতিমা তৈরি হলে ও দুইদিন বৃষ্টি থাকায় রং করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে ।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর বলেন,আমরা পূজাকে ঘিরে সার্বিক প্রস্তুুতি গ্রহণ করেছি,আশা করি এবারের পূজা প্রতিবারের চাইতে আরো ভিন্নতা পাবে এবং সনাতন ধর্মালম্বী ও জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আশা পূরণ করতে পারবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন,আসন্ন দূর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে উদযাপনের জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা জেলার সকল উপজেলার দূর্গাপূজা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে বসে মতবিনিময় সভা করেছি এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি ।
গেল সোমবার (৮ অক্টোবর) মহালয়া। আর মহালয়ার মধ্য দিয়েই দেবীপক্ষ শুরু। আগামী ১৫ অক্টোবর (সোমবার) ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে,সন্ধ্যায় বান্দরবান রাজার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
পূজার শুভ উদ্বোধন,মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও দেবীর মুখোন্মোচন হবে আর এরপরই অনুষ্ঠানে দেবীস্তুতি পাঠ করবেন বাঙ্গালহালিয়া জোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। নিয়মানুযায়ী ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার মহাসপ্তমী,১৭ অক্টোবর বুধবার মহাঅষ্টমী,১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানবমী ও ১৯ অক্টোবর শুক্রবার দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবীর আগমন ঘোটকে চড়ে (যার ফল-ছত্রভঙ্গ চরমাগমে) এবং প্রত্যাগমন হবে দোলায় চড়ে।