পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকবছর ধরে নজরুল ইসলাম (মজিব) একুশে সংবাদ, চাটগাঁর সংবাদ, অপরাধ চিত্র ও দৈনিক খবরসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে বান্দরবানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। গত রবিবার বিকালে বান্দরবানের কুহালং ও সুয়ালকের বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে ছবি তুলে চাঁদা দাবি করলে সেখানকার ম্যানেজারের সন্দেহ হলে স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে তাদের কর্ম প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে এবং আইডি কার্ড যাচাই বাছাই করলে সাংবাদিকতার সত্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি ক্যামরা, কয়েকটি মোবাইল, বিভিন্ন পত্রিকার কয়েকটি ভুয়া আইডি কার্ড, চাঁদা আদায়ের টাকা জব্দ করা হয়।
গত ৭জানুয়ারী চাইথোয়াই চিং মারমা (৩২) ও চিংথোয়াইনু মারমা নামে দুইজন ভুয়া সাংবাদিককে গাছ ব্যাবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদাবাজির সময় সদরের বালাঘাটা থেকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। তারা বর্তমানে চাঁদাবাজি মামলায় বান্দরবান কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত,বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি বেড়ে যাবার কারনে স্থানীয় সাংবাদিকরা জোর দাবী জানিয়ে আসছিল যাতে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।