র্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই মার্চ রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা সদরে ফেরত আসার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা
বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়, এই ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৭জন প্রান হারান এবং ১৯জন আহত হন, তাদের অনেকে এখনও সিএমএইছ ও চমেকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনার অন্যতম আসামী জ্ঞান শংকর চাকমা ঘটনার পর জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আত্মগোপন করে ।
আরো জানা গেছে, র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারে সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করে পুনরায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে, এই সংবাদ জানার পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতে। বুধবার দুপুরে শসস্ত্র দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং এসময় র্যাবের সাথে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
র্যাব ৭, চট্টগ্রাম এর উপ-অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চীফ কালেক্টর।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের লাশ আমাদের বুঝিয়ে দিলে , লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্টরা ফেরার পথে বাঘাইছড়ির সাড়ে এগার কিলোমিটার এলাকার বটতলা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৭ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।