বান্দরবানে বাঙালী সংগঠনগুলোর নামেই হরতাল পালন !

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরের হরতালের চিত্র
বান্দরবান শহরের হরতালের চিত্র
রাঙামাটিতে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন এর বৈঠককে কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলায় বাঙালীদের পাঁচটি সংগঠন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহব্বান করলেও বান্দরবান জেলায় হরতাল পালন হচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে শহরের কোন স্পটে হরতালকারীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। শহরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্টান,সরকারী-বেসরকারী অফিস ছিল খোলা,ব্যাংকগুলোতে লেনেদেন হচ্ছে প্রতিদিনের মতো। জেলার বিভিন্ন উপজেলা- জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকায় যানবাহন চলাচল করেছে অন্যদিনের মতো। সকাল ৭টা থেকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রামে বাস চলাচল ২ ঘন্টা বন্ধ থাকলে পরে তা চালু করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে হরতাল আহব্বানকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হলে তারা অলস সময় কাটায়।
এই ব্যাপারে বাঙালি ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম পাহাড়বার্তাকে বলেন, বান্দরবানে দূরপাল্লার বাস চলছেনা, পিকেটিং-এ আছি আমরা। তিনি আরো বলেন, ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের মিটিং যেহেতুু রাঙামাটি, সেহেতু মূল হরতাল রাঙামাটিতে।
আজ রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক আহব্বান করা হয়। বান্দরবানে বাঙালী সংগঠনগুলোর প্রতিটি কর্মসূচী পালন করা হয় দায়সারা ভাবে। অনেক সময় কর্মসূচী আহব্বান করে নেতারা মোবাইল বন্ধ করে ঘরে সময় কাটান এমনও অভিযোগ স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের।
বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ বলেন, হরতাল ডাকা হলেও সবকিছুই স্বাভাবিক আছে, আমরা সতর্ক আছি।
প্রসঙ্গত,গত বুধবার পার্বত্য গণ পরিষদের রাঙামাটিস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন