একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিদেশী পর্যটকদের বান্দরবানে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ডিউটিতে থাকার কারনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবেনা বিধায়, বিদেশী পর্যটকদের স্বাগত জানানো হবেনা। রোববার বিকালে ফোনে এমন মন্তব্য করেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৭দিন একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমনে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। রোববার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম, সিভিল সার্জন ডা: অংশৈ প্রু মারমা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউিল করিমসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে তিন পার্বত্য জেলায় বিদেশিদের ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বলা হয়, বিদেশিদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। একই সঙ্গে নির্দেশনা জারি করা হয়, কূটনৈতিক বাদে যেকোনো বিদেশিদের তিন পার্বত্য জেলায় যাওয়ার এক মাস আগে অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে একই বছরের ২২ মার্চ বিদেশিদের প্রবেশে অনুমতির বিষয়টি শিথিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরো জানা যায়, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের পূর্বঅনুমতি নিয়ে বান্দরবানসহ অপর দুই পার্বত্য জেলায় বিদেশীদের প্রবেশ ও ভ্রমনের বিধান থাকলেও অনেক বিদেশী বিষয়টি অমান্য করে বান্দরবানে প্রবেশ করায় স্থানীয়সহ প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে, তাই নির্বাচনকে ঘিরে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলায় ১৭৬টি ভোট কেন্দ্রে ১৭৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার ছাড়াও ৬০৫ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ১২১০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৩০ জন পুরুষ ও ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন নারী ভোটার। এছাড়া জেলার দূর্গম ১৪টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে হেলিকপ্টার।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানে ৩০০ নং আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিএনপি থেকে সাচিং প্রু জেরী ও ইসলামী আন্দোলন থেকে শওকতুল ইসলাম নির্বাচনে প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বনিদ্বতা হবে বীর বাহাদুর ও সাচিং প্রু জেরীর মধ্যে।