বান্দরবানে বৃষ্টিতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ

NewsDetails_01

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে বান্দরবান জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীতে পানি বাড়ার কারণে বান্দরবানের নিম্মাঞ্চলের কয়েক শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে আর অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।

এদিকে অতিবৃস্টি আর বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের আশংকা বিরাজ করছে সর্বত্র, তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছে দুর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুুতি রয়েছে।

বান্দরবানের সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার ইসলামপুর,আর্মিপাড়া, ওয়াবদা ব্রীজ, গোদার পাড়া, কাসেম নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ী পানিতে ঢুবে যাওয়ায় লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন নিম্মাঞ্চলে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ জনসাধারণ, হঠাৎ করে অনবরত বৃষ্টি আর পাহাড় ধসের কারণে আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণ।

বান্দরবান সদর শহর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করা ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মো.জয়নাল জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের ঘর ডুবে গেছে আর তাই পরিবার নিয়ে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি,তবে বাসা বাড়ীর বেশিরভাগ মালামাল পানিতে ডুবে গেছে।

NewsDetails_03

অবিরাম বৃষ্টি হওয়ার ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত জনসাধারণের জীবন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত আর বৃষ্টির পরপরই পৌর এলাকার অনেক ঘরবাড়ী পানিতে ডুবে যায়। অনেক পরিবার বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে আর তাদের পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে সাধারণ জনগনকে পাহাড়ের পাদদেশ ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থানের আহবান জানান।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ৩দিন যাবত বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে আর বান্দরবানের সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো জানান, বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য ৭উপজেলায় খোলা হয়েছে ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।

আরও পড়ুন