বান্দরবানে বড়দিন পালিত

বান্দরবান সদরের গ্যাসমনি পাড়ায় বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটছেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি
বান্দরবানে পালিত হয়েছে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। বড়দিন উপলক্ষে সকাল থেকে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীরা মেতে ওঠেছে নানা আয়োজনে। দেশের বিভিন্নস্থানের মতো বান্দরবানেও ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২ টা ১মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হয়। বড় দিনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা সদরে ব্যাপটিষ্ট চার্চ ও ফাতেমা রানী ক্যাথলিক চার্চের আয়োজন করা হয় সমবেত প্রার্থনা ।
সকাল থেকেই খ্রীষ্টান ধর্মালম্বী শিশু নারী ও পুরুষেরা সমবেত প্রার্থনার মিলিত হয়ে আগামী দিনের অনাগত সুখের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে, প্রার্থনায় আত্মশুদ্বির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ শান্তির প্রত্যাশা করেন সকলে। এসময় খ্রীষ্ট ভক্তরা যীশুর পথ নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে একসাথে সুন্দরভাবে পৃথিবীতে বসবাসের আহবান জানান। জেলা সদরে ব্যাপটিষ্ট চার্চে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, ব্যাপটিষ্ট চার্চের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই ও ক্য শৈ প্রু খোকা উপস্থিত থেকে প্রার্থনা শেষে বড়দিনের কেক কাটেন ।
ব্যাপটিষ্ট চার্চে স্বাগত বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্য শৈ প্রু খোকা বলেন, যীশু খ্রীষ্ট মানবজাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন , পৃথিবীতে সুখ শান্তি প্রতিষ্টা করাই ছিল তার লক্ষ্য। তাই আমাদের সকলের যীশুর জীবনীকে মেনে সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে। এসময় তিনি আগামী বছরের শুরুতেই সকলের সুখ-শান্তি ও দেশবাসীর জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, সকলের সুখ শান্তি লাভের ও মুক্তির পথের পাথেয় পরম সৃষ্টিকর্তা যীশু। খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের জন্য আজ অন্যতম দিন ও সবচেয়ে আনন্দদায়ক দিন বড়দিন , আজ এই দিনে যীশুর জন্ম । তিনি এসময় আরো বলেন , প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ ধর্ম পালন করা আর রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে নিজ নিজ মৌলিক কর্তব্যগুলো বাস্তবায়ন করা।
অনুষ্টানে জেলা প্রশাসক খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা প্রদান করেন এবং বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ৫শত কেজি চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে এবং আগামীতে ও নিজ নিজ ধর্ম আরো জাকজমক ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সরকার থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে জেলার প্রতিটি চার্চে নেওয়া হয়েছে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন