বান্দরবানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যসহ আটক ৩

NewsDetails_01

বান্দরবানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের আটক ২ সদস্য
বান্দরবানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যসহ আটক তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের ওয়াইজংশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, আরাকান আর্মির সদস্য ম্যাসোয়াই (২০), খয়লিথোয়াই (২১) ও মোটর সাইকেল চালক উঞোম মারমা (২১)।
সেনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে বান্দরবান থেকে মোটরসাইকেল যোগে জেলার থানচি উপজেলায় যাওয়ার পথে ওয়াইজংশন ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা, আরাকান আর্মির ব্যবহৃত সিল (কর্নেল পদবির), কয়েকটি মোবাইল সেট, মিয়ানমারের ডিকশনারি, একটি মোটর সাইকেলসহ অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আরো জানা গেছে, আটকদের পর অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার সকালে বান্দরবান সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে খয়লিথোয়াই মারমার বাবা চয়নই আরাকান আর্মির কর্মকর্তা ছিলেন। সংগঠন ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ায় বসবাস করতেন, তার ছেলে পরে একই সংগঠনে যোগ দেয়। মোটরসাইকেল চালক উঞোম মারমা বান্দরবান শহরে মোটর সাইকেলে যাত্রী আনা নেওয়ার কাজ করেন।
এদিকে রবিবার দুপুরে সেনাবাহিনী আটক তিনজনকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করলে তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরকান আর্মির সদস্যরা সক্রিয় থাকলে তার নিত্যপণ্য ক্রয় করতে বান্দরবান জেলা শহরে আসে।
সেনাবাহিনীর সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটকরা ওয়াইজংশন ক্যাম্প পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাদের তল্লাশি করে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৫ সালের ১৪ অক্টোবর রাঙামাটির রাজস্থলি থেকে নিরাপত্তা বাহিনী আরকান আর্মির শীর্ষ নেতা রেনিন সো’কে আটকের পর সন্ত্রাস দমন আইন, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং বিদেশি মুদ্রা পাচার আইনে ৩টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় চলতি বছরের ৫ জুন রেনিন সো জামিনে বের হলে সাদা পোশাক পরিহিত কিছু লোক তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেয়।

আরও পড়ুন