বান্দরবানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপপ্রচারকারীরা প্রশাসনের নজরদারীতে

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে সংবাদ সম্নেলন
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাবেন ? সম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবেন ? তবে এখনই সাবধান ! আপনার অপপ্রচারের কারনে গ্রেফতার হতে পারেন আপনি। ইতিমধ্যে বান্দরবানের প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে, নজর রাখছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অপপ্রচারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বান্দরবানের ৭টি উপজেলায়। আর এসব অপপ্রচারকারীদের এরই মধ্যে নজরে রেখেছে প্রশাসন। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে বান্দরবানের প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক । এসব আতঙ্কে ভীত না হওয়ার জন্য জেলা শহরের বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের নিয়ে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসান থেকে সভা করা হয়েছে। আর আসন্ন দূর্গাউৎসবকে উৎসবকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চলতি মাসে মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলে ফেসবুক, টুইটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়িক উস্কানির পোষ্ট শেয়ার করা হলে বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে আদিবাসীদের উপর হামলা চালানো হবে। আর এরপর থেকে জেলার বিশেষ করে দূর্গম এলাকার আদিবাসী বৌদ্ধরা আতংকে দিনপার করে।
আরো জানা গেছে, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর বান্দরবান শহরে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা হয়। সভায় বান্দরবানের সম্প্রিতী বজায় রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে আহব্বান জানানো হয় এবং জেলা শহরে পুলিশি টহল জোরদারসহ ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এদিকে সকাল ১১ টার দিকে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে আরো একটি জরুরি সভা করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকায় কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটলে তা নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন