বান্দরবানে লকডাউন শুরু

NewsDetails_01

করোনা সংক্রমণ রোধে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ১ম দিনের মত লকডাউন।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বান্দরবান সদরের বাজারের সব দোকান বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে দেখা যায়, সড়কে কিছু রিকশা আর কাঁচামাল বহনকারী যানবাহন চলছে। তবে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা । নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে কেউ কেউ এসেছেন বাজারে । সড়কের মোরে মোরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ।

১৪ এপ্রিল ভোর ৬ টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন ।

প্রসঙ্গত, ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত চলমান এই লকডাউনকে সামনে রেখে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে বলা হয় সারা দেশের মানুষকে। এগুলো হলো:

-জরুরি সেবাদানকারীরা ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব বন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

-আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট জারি করবে।

-অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক, সব ধরণের যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। চালু থাকবে জরুরি পণ্য পরিবহণ।

NewsDetails_03

-শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে। নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

-অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

-খাবারের দোকানে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। বন্ধ থাকবে শপিং মল, মার্কেট ও অন্যান্য দোকান।

-কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

-স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বোচ্চ ২০ জন জুমা ও তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

-বোরো ধান কাটার ক্ষেত্রে কৃষি শ্রমিক পরিবহণে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

-নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করবে।

বিধিনিষেধের বাইরে রাখতে শুরু থেকেই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা, বিশেষত গার্মেন্টস মালিকরা। কিছু শর্ত দিয়ে তাদের দাবিও মানা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতের পর প্রথম দফায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। পরে চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বজায় রাখে সরকার।

আরও পড়ুন