বান্দরবানে লুম্বিনী গার্মেন্টসের কর্মীসহ মোট আক্রান্ত ১৯ জন

শহর জুড়ে আতঙ্ক

NewsDetails_01

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাড়েই চলেছে করোনা সংক্রামন। আর এই রোগে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫ টিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৯ জনে, সুস্থ হয়েছে ৯ জন এবং আইসোলেশনে আছে ৯ জন এবং সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১ জন।

আজ সোমবার (২৫ মে) সর্বশেষ করোনা প্রতিবেদনে করোনা পজেটিভ আসে বান্দরবান সদরের মেঘলায় অবস্থিত লুম্বিনী গার্মেন্টস কর্মী আনন্দ এর, যার বয়স ৩৮ বছর। তার সাথে আরো একজন মেঘলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকা রুম মেট থাকলেও তিনি অবাদে কর্মস্থলে যান। আনন্দের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগড়ে। গত ১০ মে আনন্দ লুম্বিনীতে যোগ দেয়।

অপর আক্রান্তের মধ্যে আছে স্বর্ণ মন্দির এলাকার ধনঞ্জয় দেবনাথ, তার বয়স ৩৮ বছর। তার বাড়ী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। সে কুহালং ইউনিয়ন রুট দিয়ে ব্যবসার জন্য বান্দরবানে প্রবেশ করে। সে করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর পেয়ে স্বর্ণ মন্দির এলাকা থেকে আজ বিকালে পালিয়ে যায়। আর এই দুইজনের মাধ্যমে জেলা সদরে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অং সুই প্রু মারমা পাহাড়বার্তাকে বলেন,লুম্বিনী গার্মেন্টস কর্মী আনন্দকে সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে নিয়ে আসা হলেও স্বর্ণ মন্দির এলাকার ধনঞ্জয় দেবনাথ পালিয়ে যাবার কারনে তার বিষয়ে পটিয়া উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

NewsDetails_03

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৯ জন, এর মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়ে নিজেদের বাড়ী ফিরে গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলার বাইরে থেকে মানুষ প্রবেশ করার কারনে করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি বেড়েছে জেলা সদরে।

তবে সংক্রামণ রোধে বসে নেই প্রশাসনও। জেলার প্রধান ও একমাত্র গার্মেন্টস লুম্বিনী’তে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়ার কারনে জেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মনে করছে, এই আক্রান্ত কর্মীর কারনে প্রতিষ্ঠানটির শত শত শ্রমিক আক্রান্ত হতে পারে। যার ফলে করোনার সংক্রামনের অতি ঝুঁকিতে পড়বে বান্দরবান শহর।

প্রসঙ্গত,করোনার কারনে সারাদেশে গার্মেন্টস বন্ধ থাকলেও বান্দরবানের লুম্বিনী গার্মেন্টস বন্ধ না রেখে তাদের পোশাক উৎপাদন অব্যাহত রাখে।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অং সুই প্রু মারমা পাহাড়বার্তাকে আরো বলেন, জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।

আরও পড়ুন